সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ ড্রয়ের পর কোস্টারিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়। দুই প্রধান তারকা নেইমার ও কুতিনহো গোল পেয়েছেন। এই জয়ে ব্রাজিল শিবিরের ভেতরের ছবি বদলে গিয়েছিল। শনিবার বাধ্যতামূলক অনুশীলন ছিল না ব্রাজিল শিবিরে। সোচির প্রস্তুতি শিবিরে মার্সেলো ভিয়েরো, কাজিমিরোরা মাঠে নামলেও দেখা যায়নি নেইমারকে। কিন্তু ব্রাজিল শিবিরের স্বস্তি উধাও হয়ে গেছে ডগলাস কস্তার চোটের খবরে।
কোস্টারিকার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই উইলিয়ানকে তুলে ডগলাসকে নামিয়েছিলেন তিতে। ম্যাচের মধ্যেই পায়ের পেশিতে চোট পান ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। তখনও বোঝা যায়নি ডগলাসের চোট কতটা গুরুতর। শনিবার ডাক্তারি পরীক্ষার পরে জানা গেছে, সার্বিয়ার বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। এছাড়াও খেলতে পারবেন না দানিলো।
সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ম্যাচ ২৭ জুন মস্কোর স্পার্টাক স্টেডিয়ামে। তবে এই দুই তারকা সোচিতে দলের বেসক্যাম্পেই থাকবেন। শনিবার ব্রাজিল জাতীয় দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার বলেছেন, ‘সার্বিয়া ম্যাচ খেলতে ডগলাস ও দানিলোকে দলের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। ওরা সোচিতেই থাকবে। কারণ, এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত।’
কোস্টারিকার বিপক্ষে চোট পাওয়ার পরেও মাঠ ছাড়েননি ডগলাস। পুরো ম্যাচ খেলেন। ৯৭ মিনিটে তার পাস থেকে গোল করেন নেমার। অভিভূত ব্রাজিল জাতীয় দলের ডাক্তার বলেছেন, ‘ডগলাসের দায়বদ্ধতায় আমরা মুগ্ধ। একবারের জন্যেও বলেনি যে, চোট পেয়েছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে চোটের খবর আমাদের জানায়।’
তার মাঠে প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে লাসমার বলেছেন, ‘এই ধরনের চোট নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না। তাই বলা সম্ভব নয়, ঠিক কবে মাঠে ফিরতে পারবে ডগলাস। তবে আশা করছি, ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।’ যদিও ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, এই বিশ্বকাপে ডগলাসের মাঠে নামার সম্ভাবনা ক্ষীণ।