স্বোস্থ্য কণিকা: বর্ষাকালে নানা রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এ সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। তাই সাবধান থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষায় সুস্থ থাকতে বেশ কয়েক ধরনের চা-ই যথেষ্ট। এমন কিছু চা নিয়েই আজকের টিপস :
মসলাদার চা
এই চা কে না পছন্দ করেন? কোনো কারণ ছাড়াই মসলা চা দারুণ লাগে। নতুন কিছু নয়, নানা ধরনের মসলার চা বর্ষায় একটু বেশি বেশি খাবেন। আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ আর এলাচ চাকে এক জাদুকরি পানীয়ে পরিণত করে। ঠাণ্ডা জ্বর, সর্দি, কাশি ও ফ্লু জাতীয় সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তা দেবে মসলাদার চা।
যষ্টিমধুর চা
দেহের বহু উপকারিতার জন্যে আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বেশ জনপ্রিয়। খুসখুসে কাশির মতো ঝামেলার যম এটি। এই মৌসুমে দিনে অন্তত একবার এই বিশেষ চা খেতে পারেন। তবে শুধু যষ্টিমধুতেই থামবেন না। এতে যোগ করুন আদা, লেবুপাতা আর পুদিনাপাতা।
আম-আদা-হলুদ চা
এমনিতেই হলুদ মেশানো চায়ের গুণ সবারই জানা। তার মধ্যে যদি সামান্য আমের রস আর আদা মেশাতে পারেন তো কথাই নেই। হজমঘটিত কোনো সমস্যা থাকলে দূর হয়ে যাবে। পেটের সমস্যা বর্ষাকালে বেশ দেখা যায়। আমের সঙ্গে হলুদ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই চায়ে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেশন উপাদান।
মিন্ট ব্লেন্ড হার্বাল
যেকোনো হার্বাল উপাদান দেহে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দেয়। বিশেষ করে দূষণের কারণে দেহে যেসব ক্ষতিকর উপাদান জমে, তা দূর করতে হার্বাল চায়ের তুলনা নেই। এই চায়ের মধ্যে পুদিনা ও ধনে পাতার মিশ্রণ আছে। দুই ধরনের মিন্ট হার্বাল মিলেমিশে এই চা বর্ষায় আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।
মসলাদার গোলাপ চা
এ কথা অনেকেই জানেন না যে গোলাপ মনমেজাজ ভালো করে দেয়। তাত্ক্ষণিকভাবে সতেজ করে তোলে। এর সঙ্গে যদি স্বাস্থ্যগুণে সম্পন্ন মসলা ব্যবহার করা যায় তো কথাই নেই। কিছুটা বিলাসিতা মনে হতে পারে। কিন্তু জোগাড় করতে পারলে তা খরচবহুল মনে হবে না। চায়ের মধ্যে কয়েকটা গোলাপের পাপড়ি দিতে হবে শুধু।