খেলার খবর: ফুটবলপ্রেমীদের চমকে দেওয়া ক্রোয়েশিয়া আর শক্তিশালী ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়েই পর্দা নামছে রাশিয়া বিশ্বকাপের। পুরো টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফর্ম করেছে ফ্রান্স। অন্যদিকে, বিশ্বকাপের চলতি আসরে একের পর এক চমক দেখিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ৯টায় মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে শিরোপা জয়ের ম্যাচটি।
ক্রোয়েট ফুটবলাররা স্বপ্ন দেখছেন শিরোপা জয়ের। ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামা ক্রোয়েশিয়ার সামনে আছে ইতিহাস লেখার হাতছানি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে নবম দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ক্রোয়েটদের সামনে। ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে, এখনো হয়তো অনেকের বিশ্বাস হবে না। কিন্তু তারা করে দেখিয়েছে। এখান থেকে শিরোপা তুলে ধরলেও অবিশ্বাসের কিছু থাকবে না।
রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে ক্রোয়েটরা ছিল ফিফা র্যাংকিংয়ের ২০ নম্বরে। র্যাংকিংয়ের এত পিছনে থেকে এর আগে কোনো দেশ কখনও বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেনি। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়ে তৃতীয় হওয়া দেশটি সেবার যে বিস্ময় জাগিয়ে গিয়েছিলো ফুটবল ভক্তদের মনে সেই বিস্ময়ই যেনো আরও কয়েকধাপ বাড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপ শুরু করে ক্রোয়েটরা।
অন্যদিকে আছে ফ্রান্সের সম্মান আরও একটু বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ। নিজেদের জার্সিতে আরও একটি তারকা বাড়িয়ে নেওয়ার এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করবে না তারা। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে রোনাল্ডো-রিভালদোর ব্রাজিল ছিল ফেভারিট, কিন্তু জিদানরা সেদিন ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেশকে প্রথমবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন।
২০০৬ বিশ্বকাপেও এই ফ্রান্সই ছিলো ফেভারিট, কিন্তু ইতালির বিপক্ষে কান্না নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছিল ফরাসিদের।
এদিকে, প্রথমবার ফাইনাল খেলা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফেভারিট হিসেবে মাঠে নামলেও ফরাসিরা জানে ক্রোয়েশিয়া কতটা কঠিন দল। পরিসংখ্যান হোক আর অভিজ্ঞতা, সবদিক থেকেই ক্রোয়েশিয়ার থেকে এগিয়ে ফ্রান্স।
তবে বিশ্বকাপ ফাইনালে যে সব সময় ফেভারিটরা জেতে না সেটা ফরাসিরা খুব ভালো করেই জানে।