নিজস্ব প্রতিনিধি: কালো বলে মেরে ধরে সাবিনা নামে এক গৃহবধুকে তার সন্তানসহ তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সাবিনা যশোরের শার্শা উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের ওবায়দুর রহমানের মেয়ে। ছয় বছর আগে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। কালো বলে সাবিনার বিয়ের সময় পিতা ওবায়দুর তার জামাইকে নগদ ১ লাখ টাকা দেয় মেয়ের সুখের জন্য।
তারপরেও বিয়ের পর থেকে সাবিনার শাশুড়ী জরিনার প্ররোরচনায় তার স্বামী আলমগীর স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো।
এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিশ বসানো হয়েছে গ্রামে। শালিশের মাধ্যমে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যেয়ে আবারো মারপিট করতো বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা। তাকে রাখবেনা বলে গর্ভের একটি সন্তানও নষ্ট করতে বাধ্য করে স্বামী-শাশুড়িরা। এরপর আরো একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয় সাবিনার। তার বয়স ৩ বছর।
সর্বশেষ গত ৯ জুলাই স্বামী ও শাশুড়ী মারপিট করে সাবিনাকে তাড়িয়ে দেয় বাড়ী থেকে। আইনী সয়াহতা পেতে সাবিনা এখন বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিচ্ছেন। সাবিনার পিতার সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আইনি সহায়তা কামনা করেছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট