দেশের খবর: জেলা প্রশাসক সম্মেলন (ডিসি সম্মেলন) আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শেষ হবে ২৬ জুলাই।
আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম এ কথা জানান।
তিনি জানান, আগামী ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ঢাকায় তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ জুলাই সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, ডিসি সম্মেলনে মোট ২২টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অংশগ্রহণকারী ৫২টি মন্ত্রণালয়ের ১৮টি কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ডিসিদের পাঠানো ৩৪৭টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এবারও সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা অংশ নেবেন। কার্য অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাঠ প্রশাসনকে চাঙ্গা রাখা, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গতি আনা, তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের নীতি ও দর্শনের বাস্তবায়ন এবং পর্যালোচনা, সরকারের নীতিনির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সরাসরি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়ার জন্য প্রতি বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এবছর ডিসি সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় প্রসঙ্গে জিয়াউল আলম বলেন, এবছর ডিসি সম্মেলনের প্রধান প্রধান অলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম জোরদারকরণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম,সামাজিত নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গভর্নেন্স, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও সমন্বয়।
এর আগে ২০১৭ সালের সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে ৫২টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সম্পর্কিত ৩৪৯টি প্রস্তাব দিয়েছিলেন ডিসিরা। এর মধ্যে ১৫০টি স্বল্পমেয়াদি, ১৩২টি মধ্যমেয়াদি এবং ১৪৭টি দীর্ঘমেয়াদি মোট ৪২৯টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।