খেলার খবর: জার্মানির ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ে অন্যতম অবদান রেখেছিলেন মেসুত ওজিল। দলটির এই সাফল্যের পেছনের কারিগরও বলা হয়ে থাকে তাঁকে। দীর্ঘদিন ধরেই দলটির মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা তিনি। কিন্তু এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে জার্মানি যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি উজ্জ্বলতা ছড়াতে পারেননি ওজিল। তাই তাঁকে শুনতে হচ্ছে বর্ণবাদী কথাবার্তা। আর এ কারণে রাগে-ক্ষোভে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফেললেন তিনি।
গত মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর সঙ্গে তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানির দুই খেলোয়াড় ওজিল ও গুন্ডোগান দেখা করেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে আর্সেনালের জার্সিও উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
আর এ কারণে জার্মানিতে তীব্র সমালোচনার শিকার হন ওজিল। কারণ, তুরস্কের সঙ্গে জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তাই জার্মানির খেলোয়াড় হয়েও তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করা তাঁদের ঠিক হয়নি।
কড়া সমালোচনা শুনেও এত দিন ওজিল নীরব ছিলেন। রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরে মুখ খুলেছেন তিনি। ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে বিবৃতি দিয়ে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে ওজিল বলেন, ‘সাফল্য পেলে আমাদের জার্মান বলা হয় আর হারলে বলে অনুপ্রবেশকারী! এমন কথা আমাদের বহুবার শুনতে হয়েছে। জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের মুখ থেকেও এমন কথা শুনতে হয়েছে আমাদের। এমন বর্ণবাদী আচরণের শিকার হতে হয়েছে আমাদের।’
অবসরের কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে আরো বলেন, ‘অনেক কষ্ট নিয়েই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।কারণ এমন বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছি, যা মেনে নেওয়া কঠিনই।’
তাই এখন জার্মানির হয়ে করা অর্জনগুলোও ভুলে যেতে চান আর্সেনালে খেলা এই ফুটবলার, ‘জার্মানির জাতীয় দলে আমি সুযোগ পেয়েছি ২০০৯ সালে। গর্ব করেই জার্মানির জার্সি পরতাম, কিন্তু এখন নিজেকে অবাঞ্ছিত মনে হচ্ছে। তাই এখন সব অর্জনের কথা ভুলে যাওয়া উচিত বলে মনে হচ্ছে।’
জার্মানির হয়ে ওজিল ৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ বিশ্বকাপে খেলেন তিনি।