দেশের খবর: সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতির সংস্কার নিয়ে আরও পর্যালোচনার পর এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি।
রোববার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের কক্ষে দুপুরে বৈঠকে বসেন কোটা পর্যালোচনা কমিটি।
বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিধি) ও কমিটির মুখপাত্র আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, কোটা সংস্কার একটি জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে ব্যাপক পর্যালোচনা প্রয়োজন আছে। আমরা এখনও পর্যালোচনার মধ্যে আছি। কোটা-সংক্রান্ত আরও রিপোর্ট পর্যালোচনা করার পর আমরা এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেব।
কোটার ব্যাপারে কবে নাগাদ সিদ্ধান্ত আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা এ মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিষয়টি কাজ করছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রচলতি কোটা প্রথা নিয়ে বিশ্লেষণ করছি। বিভিন্ন পক্ষের মতামত নিচ্ছি। সবকিছু পর্যালোচনার জন্য আমাদের আরো সময় লাগবে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘কোটা নিয়ে সুপারিশ প্রায় চূড়ান্ত। আমরা মেধাকে প্রাধান্য দিয়ে অলমোস্ট (প্রায়) কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করব। তবে আদালতের একটা রায় রয়েছে, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সংরক্ষণ করতে হবে। এ ব্যাপারে আদালতের মতামত চাইব, আদালত যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটা উঠিয়ে দেয় তবে এ কোটাও থাকবে না।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস (৩ মাস) বাড়ানো হয়।
কোটা পর্যালোচনা কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন- সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ, অর্থ বিভাগের সচিব মুসলিম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের সচিব আকতারী মমতাজ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধার ভিত্তিতে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ আছে। এ ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সে ক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের বিধান রয়েছে। কোটা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা।
কোটা নিয়ে আরও পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত
পূর্ববর্তী পোস্ট