ন্যাশনাল ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল উচ্ছেদের ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেছে। অথচ এখনও উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসা শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন সাঁওতালরা। সাপমারা ইউনিয়নের জয়পুরপাড়া ও মাদারপুর গ্রামের গির্জার সামনে আশ্রয় নেওয়া ৪০০ শতাধিক সাঁওতাল পরিবার কোনও রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে আশপাশের গ্রাম ও পরিত্যক্ত স্কুল ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যরাই আগুন দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন সাঁওতালরা। গণমাধ্যমে পুলিশের আগুন দেওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। ফলে এ ঘটনার দায়িত্বে থাকা পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সাঁওতাল, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীরা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও তুলেছেন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারে গত ৬ নভেম্বর আখ কাটাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ, বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে তিনজন সাঁওতাল মারা যান, গুলিবিদ্ধ হন চারজন। নয় পুলিশ সদস্য তীরবিদ্ধ হন। এছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।
https://www.youtube.com/watch?v=UvtsSAoeUA8
হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় কমিশন চেয়ে গত ২১ নভেম্বর দ্বিতীয় রিট করেন আহত দ্বিজেন টুডোর স্ত্রী অলিভিয়া হেমব্রম ও গণেশ মুরমোর স্ত্রী রুমিলা কিসকুর পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। এ রিটের শুনানি নিয়ে পরদিন ২২ নভেম্বর সাঁওতালদের ওপর হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও হত্যা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক, পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং মহিমাগঞ্জ সুগার মিলের ম্যানেজারকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বলছি পুলিশ দায়ী। আমাদের কাছে ভিডিও বা ছবি ছিল না। কিন্তু আমাদের পিটিশনে বলেছি জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি করার জন্য। গণমাধ্যমে দেখলাম ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। আমরা আগামী বুধবার কোর্টে এ ভিডিও উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। আশা করছি, জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি কমিটির অর্ডার পাবো।’
পুলিশ আগুন লাগানোয় জড়িত থাকলে তদন্ত কতটা সুষ্ঠু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘সেটা আমরাও সন্দেহ করছি। যদি এটা বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়, তাহলে অন্ততপক্ষে একটা স্বস্তির জায়গা হলো যে বিচারকরা তদন্ত করবেন। পুলিশ তো নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না। বাংলাদেশে এমন নজির নেই যে পুলিশ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে যে তারা জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে বা ঘটনা ছোট হলে হয়তো কিছু উদাহরণ আছে। বড় ধরণের ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশ পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট দেবে না। এ কারণে আমরা কোর্টে বলেছি, সত্যিকার বিচার হবে না। বিচারের বিষয়টি ভীষণ রাজনৈতিক। যদি ক্ষমতাসীন দল মনে করে বিচার করবে, কেবল তখনই বিচার করতে পারবে। বিভিন্ন রকম প্রভাব বিস্তার বা সমস্যা তৈরির ফলে বিচার হতে পারে না। জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি অনেক হয়েছে বাংলাদেশে, অনেক ক্ষেত্রে সে সব রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। আমরা চাই এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক। আসামী কারা, কারা এ ঘটনায় জড়িত ছিল সেটা চিহ্নিত করাও জরুরি।’
গত ২৮ নভেম্বর প্রশাসনিক তদন্ত কমিটির ২৪ পাতার প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সকাল সাড়ে ১০টায় চিনিকলের আখ মাড়াই কর্মসূচি উপলক্ষে কাটা-ফাঁসিতলা এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টায় শ্যামল হেমব্রমসহ আরও অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশ ‘বেআইনি জনতার’ একটি ‘সংঘবদ্ধ আদিবাসী ও বাঙালি দুষ্কৃতিকারী দল’ পুলিশ ও চিনিকলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নয় জন পুলিশ সদস্য ও তিন জন সাধারণ জনগণসহ ১২ জন তীরবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে ১০টি সাউন্ড গ্রেনেড, ৫টি গ্যাস শেল, ৪০ রাউন্ড বেডবল, ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট, ১২ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ফায়ার করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে বিকেল পাঁচটার সময় বাগদা ফার্ম এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ অফিসার ও ফোর্স গেলে পাঁচ থেকে ছয়শ উচ্ছৃঙ্খল আদিবাসী ও ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ একত্রিত হয়ে চারদিক থেকে তীর-ধনুক নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ‘অবৈধ জনতাকে’ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফোর্স বিভিন্ন পর্যায়ে ৫০ রাউন্ড গ্যাস সেল, ২২ রাউন্ড বেডবল, ২৬ রাউন্ড রাবার বুলেট, ৪৭৭টি শটগানের গুলি, ৪১ রাউন্ড এসএমজি এবং চায়না রাইফেলের ২০৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। ফলে উচ্ছৃঙ্খল আদিবাসী পিছু হটে যায়। পরে আদিবাসী ও উচ্ছৃঙ্খল জনতার কার্যকলাপে ক্ষুদ্ধ হয়ে এলাকাবাসী অবৈধ স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়।
রংপুর চিনিকলের জমি নিয়ে সাঁওতালদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে স্থানীয় সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুলকে মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনের মূল অংশে রংপুর চিনিকলের জমি নিয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবকেও। ঘটনার কয়েক মাস আগেই পুরো পরিস্থিতি জানানো হয়েছিল তাকে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার দিন (৬ নভেম্বর) পুলিশ-ম্যজিস্ট্রেটের ওপর হামলা করা হয়েছে রংপুর চিনিকলের সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলী প্রধানের হুকুমে। হামলা চালিয়েছে ‘আদিবাসী ও বেআইনি বাঙালি দুষ্কৃতকারী’।
তদন্ত প্রতিবেদনের মূল অংশে বলা হয়, গত ১২ জুলাই (ঘটনার প্রায় চার মাস আগে) আখ খামারে উচ্ছেদ অভিযানে গেলে ক্ষুদ্ধ হয়ে সাহেবগঞ্জ খামারের অফিস চত্বরে প্রবেশ করে সাঁওতালরা। পুলিশ টিয়ারসেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে ওই স্থান ত্যাগ করে তারা। সাঁওতালরা তিন লাখ টাকার মালামালও লুট করে, এমন অভিযোগ আসে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামারের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধি দল। তারা ক্ষতিগ্রস্ত মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া সাঁওতাল পল্লী ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের সঙ্গে কথা বলেন।
সেখানে এক সমাবেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সাঁওতালদের সম্পত্তি রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাদের ওপর হামলা, ঘরবাড়িতে আগুন ও গুলি চালিয়ে হত্যার ঘটনা খুবই অন্যায় ও ন্যক্কারজনক যা সহজে মেনে নেওয়া যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাঁওতালদের অধিগ্রহণ করা জমি চিনিকল কর্তৃপক্ষ শর্ত ভঙ্গ করে অনেকের নামে লিজ দিয়েছেন। তারা যদি জমি লিজ গ্রহণ করতে পারেন, তবে সেই জমি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাঁওতালরা কেন পাবেন না? সাঁওতালদের ওপর হামলা ও উচ্ছেদের ঘটনায় সরেজমিন তদন্ত করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন সরকার ও সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে।’
সাঁওতালদের উদ্দেশে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘বাপ-দাদার জমি থেকে আপনাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন আপনারা সকলে জীবন ও জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এখনও জীবন রক্ষার্থে সঙ্গে তীর-ধনুক ও লাঠি হাতে পাহারা দিচ্ছেন। তবে আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। যারা আইন হাতে তুলে নিয়ে একটি ঘটনা ঘটিয়ে আপনাদের উচ্ছেদ করেছে, তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
সাঁওতালদের জান-মাল রক্ষা, নিরাপত্তা, ক্ষতিপূরণ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে গত ১৬ নভেম্বর আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) ও ব্রতী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে প্রথম রিটটি দায়ের করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক নূর খান বলেন, ‘এ ঘটনার তদন্ত নিরপেক্ষ করার স্বার্থে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা চাইবো বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক। তবে মনে রাখতে হবে, মামলার ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত সর্বশেষ তদন্ত না। মূল ঘটনা উদঘাটনের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাবো। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে তলব করেছে। যে খবর আজকে প্রকাশিত হয়েছে, আমরা সেটা আদালতের দৃষ্টিতে আনবো। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করবো। কিন্তু এ মামলার তদন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই করতে হবে।’
তদন্ত প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, ‘পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। পুলিশ বরং যারা নিরীহ মানুষ, যারা এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত না তাদের গ্রেফতার করছে। সাঁওতালদের গ্রামে উত্তেজনা তৈরি করছে, গ্রামে ঘনঘন যাচ্ছে, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আসল কাজ তো তারা (পুলিশ) করছে না। সাঁওতালদের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার মূল হোতাদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক, একেবারেই সাঁওতালদের বিপক্ষে। এ ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী। বিচারের জন্য আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম অব্যাহত রাখবো। থানায় মামলাও করা হয়েছে।’
অন্যদিকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক বলে দাবি করছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সরকার। অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সেদিন থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব সকলের অংশগ্রহণে অভিযান হয়েছিল। আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা আসার আগেই সব পুড়ে যায়।’ পুলিশ সদস্যরা আগুন দিয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সুব্রত সরকার বলেন, ‘পুলিশ আগুন দেওয়ার কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সাইন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত মামলার তদন্ত করে পুলিশ। যদি কোনও ঘটনায় কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তবে তদন্তের ক্ষেত্রে তারা না থাকাই ভালো। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে তদন্ত হতে পারে। বিচার বিভাগীয় তদন্তও হতে পারে।’
গত রোববার (১১ ডিসেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নাসিরনগর ও গোবিন্দগঞ্জের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব ঘটনায় যারা লিপ্ত ছিলেন, তাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার জন্য যা যা করতে হয় তাই করা হবে। তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হলে তা উদাহরণ হিসেবেও থাকবে।’