খেলার খবর: এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে কেউ যদি মাঝপথে টিভির সামনে বসতো বা ম্যাচের ভেন্যু সম্পর্কে কারো ধারণা না থাকত, তবে নির্ঘাত সে ব্যক্তি ভুল বুঝতে বাধ্য হতো যে ম্যাচটি হয়তো দেশের হোম অব ক্রিকেট তথা শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হচ্ছে।
কিন্তু না! ম্যাচটি দেশের হোম অব ক্রিকেটে নয়, হয়েছে সুদূর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যেখানে বাংলাদেশ দল খেলতে গিয়েছে ২৩ বছর পরে। আর এতোদিন পরে প্রিয় তারকাদের কাছে পেয়ে যেন দুবাইয়ের মাঠটিকেই মিরপুরের মাঠ বানিয়ে ফেললেন প্রবাসী বাঙালিরা।
ম্যাচে বাংলাদেশি সমর্থকদের দাপট এতোটাই বেশি ছিল যে ম্যাচ চলাকালীন একপর্যায়ে পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা বলতে বাধ্য হন, ‘হাউজফুল গ্যালারী এবং এর ৯৯ শতাংশই বাংলাদেশি সমর্থক’। রমিজ রাজা এক বিন্দুও বাড়িয়ে বলেননি।
ম্যাচের শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত, এমনকি ম্যাচ শেষ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও গ্যালারী থেকে শোনা গেছে ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’ স্লোগান। দূর দেশে খেলতে গিয়েও মাশরাফিরা যেন পাচ্ছিলেন নিজ মাটির গন্ধ, নিজ দেশের সমর্থন।
ম্যাচ শেষে তাই এই প্রবাসী বাঙালিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভুল করেননি টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুধু ধন্যবাদ জানিয়েই ক্ষান্ত হননি বাংলাদেশ দলপতি, আসরে নিজেদের প্রথম জয়টাও উৎসর্গ করেছেন প্রবাসী বাঙালিদের জন্যই।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ম্যাচ জেতার চেক গ্রহণ শেষে অনুষ্ঠান সঞ্চালকের সাথে ম্যাচ সম্পর্কিত অল্পবিস্তর আলোচনা করেন মাশরাফি। শেষদিকে এই বিশাল জনসমর্থনের প্রসঙ্গ এলে মাশরাফি সঞ্চালকের কাছ থেকে অনুমতি চেয়ে নেন বাংলায় কথা বলার জন্য।
এসময় তিনি বাংলায় বলেন, ‘আরব আমিরাতে আপনারা যেভাবে আমাদের সমর্থন করতে আসলেন, এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এই জয়টা আপনাদের জন্য। সকল প্রবাসী বাঙালিদের অনেক ধন্যবাদ। টুর্নামেন্টের বাকি সময়েও আমাদের এমন সমর্থন প্রয়োজন।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলা মাশরাফি বাহিনী দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে যাবে আবুধাবির আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানেও যে দুবাইয়ের মতোই সমর্থন পাবে টাইগাররা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রবাসী বাঙালিদের জয় উৎসর্গ করলেন মাশরাফি
পূর্ববর্তী পোস্ট