ন্যাশনাল ডেস্ক: যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ঢাকাসহ সারাদেশে মহান বিজয়ের ৪৫তম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শুক্রবার কৃতজ্ঞ জাতি তাদের এই আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমবেত হয়। শোক আর রক্তের ঋণ শোধ করার গর্ব নিয়ে উজ্জ্বীবিত জাতি দিবসটি উদযাপন করে দেশপ্রেম এবং মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার গভীর অনুভূতি নিয়ে।
বিজয় দিবস উদযাপনে স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া দিনটিতে উৎসবের লাল-সবুজ রঙ বৈচিত্র পেয়েছে সাংস্কৃতিক আয়োজনে। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় কনসার্টে মাতে বাংলার তারুণ্য। দেশের বিজয় অর্জনের এই দিনে বিশেষ অনুষ্ঠানে বাড়ির দর্শকদেরও বিজয় উৎসবে শামিল করেছে দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। হৃদয়ে বাংলাদেশ ধারণ করা চ্যানেল আই প্রাঙ্গনে উদযাপিত হয় বিজয় মেলা।
উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় শুক্রবার ভোর থেকেই। শীতের কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাস উপেক্ষা করে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে এই স্বস্তি নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ আলো ফোটার পর থেকেই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বাইরে ও আশেপাশের মহাসড়ক এলাকা এবং ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে সমবেত হতে থাকে। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে লাখো মানুষের দৃপ্তকণ্ঠে আওয়াজ ওঠে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়া পাকিস্তানের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন, জামায়াতকে নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করার। শ্রদ্ধাবোনত চিত্তে সমগ্র জাতি ত্রিশ লাখ শহীদকে জানিয়ে দিলো ‘আমরা তোমাদের ভুলব না।’
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সশস্ত্র বাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পূর্ববর্তী পোস্ট