বিদেশের খবর: বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমাগত আক্রমণের অভিযোগ তুলে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাংসদ সুব্রামাণিয়াম স্বামী বলেছেন, এই প্রবণতা অবিলম্বে বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখল করে নেওয়া হবে।
রবিবার বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিন, ত্রিপুরায় প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন রাজ্য সভার এই সাংসদ। সুব্রামাণিয়াম স্বামী বলেন, বাংলাদেশে অনেক হিন্দু মন্দির বলপূর্বক দখল করে নেওয়া হচ্ছে এবং একই সঙ্গে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের উপরে চাপ সৃষ্টি করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের এই ‘পাগলামি’ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি করেছেন সুব্রামাণিয়াম স্বামী। অন্যথায় সমগ্র বাংলাদেশে দিল্লির শাসন প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ভারতের শাসকদলের এই নেতা বলেন, “হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাগলামি বন্ধ না হলে বাংলাদেশ দখল করতে হবে। আমি সরকারকে সেই পরামর্শই দেব।”
এদিন, আগরতলা থেকে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকেও আক্রমণ করেছেন স্বামী। তিনি বলেছেন, “ইমরান খান নামেই প্রধানমন্ত্রী। আসলে তিনি চাপরাসির মতো কাজ করছেন।” সমগ্র পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ আইএসআই, জঙ্গি এবং সেনার হাতে রয়েছে বলে দাবি করেছেন সুব্রামাণিয়াম স্বামী। এ ছাড়াও তিনি জানিয়েছেন যে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পথ খুব শিগগিরই প্রশস্ত হবে।
ভারত-পাকিস্তান সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানকে চার ভাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন সুব্রামাণিয়াম স্বামী। তিনি বলেছেন, “সিন্ধু, বেলুচিস্তান, পাখতুন এবং পশ্চিম পাকিস্তান। এই চার ভাগে পাকিস্তানকে ভাগ করে দেওয়া উচিত। তাহলেই ভারত-পাকিস্তান সমস্যা সমাধান হতে পারে।” চার ভাগে বিভক্ত পাকিস্তানের পশ্চিম পাকিস্তান বাদে বাকি তিন ভাগ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও করেছেন স্বামী। এই উপায়েই উপনিবেশের প্রধান সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ দখলের হুমকি বিজেপি নেতার
পূর্ববর্তী পোস্ট