অনলাইন ডেস্ক: ভারতের দিল্লিতে গণধর্ষণ কাণ্ডের এত বছর পরেও ফাঁসির সাজা কার্যকর করা হল না। কিন্তু ভারতের থেকে সব দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান কিন্তু দেখিয়ে দিল কীভাবে ধর্ষকদের নজিরবিহীন ফাঁসির সাজা দেওয়া যায়।
গত বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় পাকিস্তানে ধর্ষিতার বাবার সামনেই ধর্ষককে ফাঁসি দেওয়া হলো। পাকিস্তানের লাহোরের কোট লকপত জেলে ফাঁসি হল সাত বছরের জিনাব আনসারির ধর্ষক ইমরান আলির। জিনাবকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল ইমরান। জিনাবেব বাবা দাবি করেছিলেন, তার সামনে ফাঁসি দেওয়া হোক তার মেয়ের ধর্ষককে। সে ইচ্ছে পূরণ করেছে পাকিস্তান আদালত।
ইমরানকে ফাঁসিতে ঝোলানোর আগেরদিন রাতে লাহোরের জেল কর্তৃপক্ষ জিনাবের বাবার সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠক করেন। তারপরেই বুধবার ভোরে ম্যাজিস্ট্রেট আদিল সরওয়ার, জেনাবের বাবা মহম্মদ আমিনের উপস্থিতিতে ফাঁসি দেওয়া হয় ধর্ষক ইরানকে।
জেলের মধ্যে ফাঁসি দেওয়ার সময় ইমরানের বড় ভাই এবং তার দুই বন্ধুকেও অ্যাম্বুলেন্সে করে আনা হয়েছিল জেলের ভেতরে। সকলের উপস্থিতিতেই সাজা কার্যকর করা হয়। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের অ্যান্টি টেরোরিস্ট কোর্ট ইমারানকে ২১ বার ফাঁসি এবং ২৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল।
ধর্ষিতার বাবার সামনেই কার্যকর হলো ধর্ষকের ফাঁসি
পূর্ববর্তী পোস্ট