দেশের খবর: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে, দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে নৌকায় ভোট দেবেন। ভোট দিলে আবার আসবো না দিলে আফসোস নেই। কারণ আমার লক্ষ্য ছিল টানা ক্ষমতায় থাকতে পারলে উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। আমাদের সে আশা পূরণ করেছি। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এ দেশের সোনার ছেলে-মেয়ে তৈরির দায়িত্ব আপনাদের। সোনার সন্তান তৈরি করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। এ দেশ যেন আর থেমে না যায়।
শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সোহরাব হোসাইন ও অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরির যে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি এই একটি সিদ্ধান্ত সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। অবশ্য পদ্মা সেতুর কারণে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের অনেক অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তবুও মাথা নত করিনি। কারণ বাবার কাছে শিখেছি অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করতে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে দিয়েছি। ২১০০ সাল পর্যন্ত ডেল্টা প্লান করে দিয়েছি। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এ দেশ এগিয়ে যাবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। শিক্ষকদের সব দাবি দাওয়া মেনে নিয়েছি। শিক্ষকরা কীভাবে ভালো থাকবেন তাদের সে সুযোগ-সুবিধা করে দিয়েছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রমে আরো গুরুত্ব দেয়ার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছি বলেই ধান উৎপাদন, শাক-সবজি উৎপাদন, মাছ উৎপাদন, ফলমূল উৎপাদনে উন্নত বিশ্বের কাতারে রয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া যাতে ঠেকে না থাকে সে কারণে প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায়ও আমরা বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছি। ১ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে প্রাথমিকে বৃত্তি দিচ্ছি। শিক্ষাবৃত্তির টাকা যাতে বেহাত না হতে পারে সেজন্য শিক্ষার্থীর মায়েদের মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠানো হয়। পাহাড়ি ও হাওর অঞ্চলের শিশুদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থাও আমরা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই প্রথম বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা শুরু করি। আমরা এর সুফলও দ্রুত পেয়েছি। লবণাক্ত, জলমগ্ন, খরা সহ্য করতে পারে এমন ধান আবিষ্কার করার ফলেই আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আরও বেশি করে গবেষণার তাগিদ দেন।