অনলাইন ডেস্ক: শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় ৯ ছাত্রীর খাতা আটকে রেখে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফেল কারানোর অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম সিটি (চসিক) করপোরেশন পরিচালিত কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশান্ত বড়ুয়ার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) এর প্রতিকার এবং ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ চেয়ে চসিক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীনের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ছাত্রীরা।
বুধবার (৭ নভেম্বর) বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ওই শিক্ষার্থীরা যেন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে তারজন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন আ জ ম নাছির উদ্দিন।
ঘটনা জানার পর থেকে ওই শিক্ষককে পাঠদান থেকে বিরত রাখা হয়েছে জানিয়ে কৃষ্ণকুমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহমদ হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মেয়রের আদেশ পেয়ে ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে এবিষয়ে শিক্ষক প্রশান্ত বড়ুয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ওই নয় শিক্ষার্থীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নগরের কোতোয়ালী থানাধীন রহমতগঞ্জে অবস্থিত কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রশান্ত বড়ুয়া দশম শ্রেণির ছাত্রীদের বিভিন্ন সময় অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন।
এরমধ্যে এসএসসির টেস্ট (নির্বাচনী) পরীক্ষায় গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ২০৪ নম্বর কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষক প্রশান্ত বড়ুয়া। সেদিন তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নয় ছাত্রীর পরীক্ষার খাতা দেড় ঘণ্টার বেশি সময় আটকিয়ে রেখে মানসিক নির্যাতন করেন। পরে পরীক্ষা শেষ হওয়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে খাতা ফিরিয়ে দেন। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়েই সেই ছাত্রীরা বিষয়টি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহমেদ হোসেনকে জানান। ওই ঘটনায় টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করেন ওই ৯ শিক্ষার্থী।
এ প্রসঙ্গে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, মেয়র স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। আর শিক্ষার্থীদের পুনরায় কীভাবে পরীক্ষায় সুযোগ দেয়া যায় তার জন্য শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেল করালে তদন্তপূর্বক অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহেদা ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিদ্যালয়টি সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত তাই সিটি কর্পোরেশনকে দায়িত্ব নিয়েই বিষয়টি সমাধান করতে হবে।