দেশের খবর: ক্ষমতাসীন জোটের সঙ্গে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত সংলাপের ফল এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান দলের পক্ষে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ কূটনীতিকদের অবহিত করেন। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাঁরা বিদেশি কূটনীতিকদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। তিনি জানান, বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া বৈঠক ঘণ্টাব্যাপী চলে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ইউএন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, চীন, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ ৩৫টি দেশের কূটনীতিকরা বৈঠকে অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ অন্যদের মধ্যে বৈঠকে অংশ নেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, বিএনপি নেতারা দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন; নির্বাচন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে তাঁদের দুই দফা সংলাপ সম্পর্কে কূটনীতিকদের জানানো হয়েছে। সরকারের ‘অনমনীয়’ মনোভাবের কারণে সংলাপ ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
বিদেশি কূটনীতিকদের তাঁরা আরো জানিয়েছেন, তাঁদের দল ও জোট গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনে যোগ দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকার ও নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিশ্চয়তার পরও ‘গায়েবি’ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার চলমান রয়েছে বলেও কূটনীতিকদের জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিএনপি নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল এবং পুনঃতফসিল ঘোষণায় নির্বাচন কমিশন যে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেছে, আমরা সে বিষয়টিও কূটনীতিকদের জানিয়েছি।’
বিএনপি নেতা জানান, তাঁরা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন উদ্বেগের কথাও কূটনীতিকদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করেছেন কূটনীতিকরা এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা।