বিদেশের খবর: গত বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অজুহাতে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা। বিশ্বজুড়ে এটিকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলা হলেও বিষয়টি নিয়ে একেবারেই চুপ ছিলেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর ও শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী সু চি।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সেনাবাহিনীর চালানো নৃশংসতাকে সমর্থন করায় সারা বিশ্বের নেতারা তার সমালোচনা করেন। ঘটনার জেরে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাদের সম্মাননা প্রত্যাহার করে নেয়। সেই যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিলো সেটি এখন চলছে। এবার তার কড়া সমালোচনা করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
মাহাথিরের দাবি, মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী সু চি সেনাবাহিনীর এই নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে বরাবরই আত্মপক্ষ সমর্থন করে এসেছেন।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার এবং সু চি‘র ভূমিকা’ শিরোনামে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহাথির বলেন, তারা আসলে এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তাদের হত্যা করছে এমনকি গণহত্যা চালাচ্ছে’। সু চি বরাবরই এ বিষয়ে প্রতিবাদ না করে বরং অনৈতিকতাকেই সমর্থন দিয়ে আসছেন।
এ বছরের আগস্টে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। তারা রাখাইন রাজ্যের লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে। যদিও মিয়ানমার সেনাবাহিনী সরকার এবং সেনাবাহিনী বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সু চি এর আগে বলে এসেছেন যে তার বেসামরিক সরকার এই সংকটের দায় নেবে না। কারণ সাংবিধানিকভাবেই সেনাবাহিনীকে অনেক ক্ষমতা দেয়া আছে।