আসাদুজ্জামান: ৩৮বিজিবির সদস্যরা গত এক বছরে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২১ কোটি ৭হাজার ৮২২ টাকার মালামাল জব্দ করেছে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা ৫৯জন চোরাকারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ৪৪টি (মালামালের মালিকসহ)। মালিক বিহীন আরো মামলা দায়ের করা হয়েছে ২ হাজার ৬২০টি। জব্দকৃতের মধ্যে ভারত থেকে আসার পথে ৭৪কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ৪’শ ৫৩ টাকার ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার পথে ৪৬ কোটি ৯৬ লাখ ১৭হাজার ৩৬৯ টাকার মালামাল। এদিকে, চোরাচালান রোধ, নারী ও শিশু পাচার বন্ধ, সীমান্তের মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসাসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য জব্দসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছেন সাতক্ষীরা ৩৮বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আরমান হোসেন। বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিজিবি দিবসে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেছেন। বিজিবি দিবসে বর্ডারগাড বাংলাদেশ মেডেল (বিজিবিএম) অপারেশন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবির পিআরও (তথ্য কর্মকর্তা) শামসুল আলম জানান, গত ২০১৬ সালে জানুয়ারি মাসে ৯ কোটি ২৯লাখ ৮২ হাজার ৬৪১টাকা, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৩কোটি ৭০লাখ ৪ হাজার টাকা ও মার্চ মাসে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৯৩ হাজার ১৮১ টাকা, এপ্রিল মাসে ১১ কোটি ১০লাখ ৪৮হাজার ৭৩০টাকা, মে মাসে ৭কোটি ৪৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫৭০টাকা ও জুন মাসে ১ কোটি ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ২০০টাকা। জুলাই মাসে ১৪ কোটি ৪৭লাখ ১০ হাজার ৩০টাকা, আগষ্ট মাসে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮০টাকা, সেপ্টম্বর মাসে ৮কোটি ৫১ লাখ ১৯ হাজার ৮৯৫টাকা, অক্টোবর মাসে ২কোটি ১৯লাখ ৭৯ হাজার ৭০০টাকা, নভেম্বর মাসে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩ হাজার ৬৪০টাকা ও ডিসেম্বর মাসে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ২৩০টাকার মালামাল জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে, শাড়ি, থ্রী-পিচ, শার্টের পিচ, লবন, ফেনসিডিল, গাজা, সাইকেল, রসুন, চামড়া, শাখা, শ্যাম্পু, পান, মদ, সোনা, রুপা, লবণ, মটরসাইকেল, সাইকেল পার্টস, চন্দন কাঠ, আঙ্গুর, কমলা, প্রসাধনিসামগ্রী, গরুরগোস্ত, স্লাব, পাথর, জিরাসহ শতাধিক আইটেমের পণ্য। সাতক্ষীরা সীমান্তের চন্দনপুর, হিজলদি, মাদরা, ভাদিয়ালি, কাকডাঙ্গা, ঝাউডাঙ্গা, তলুইগাছা, কুশখালি, বৈকারি, ভোমরা, কলারোয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত পণ্য জব্দ করা হয়। সাতক্ষীরা ৩৮বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: আরমান হোসেন জানান, গত ১বছরে ১’শ ২১কোটি টাকার অবৈধ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ। আটক করা হয়েছে ৫৯ জন চোরাকারবারিকে। ৪৪ জনকে পলাতক আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, সীমান্তে চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার ও মাদক পাচার রোধে বিজিবি সদস্যরা সকল সময় তৎপর রয়েছে। মাদক পাচারকারিদের কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। সীমান্ত এলাকায় অপরাধ ও আইন শৃংখলা রুখতে যা যা করা প্রয়োজন বিজিবি সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। চোরাচালান, মাদক পাচার রোধে এলাকায় সভা, সমাবেশ, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারনা চালানো হচেছ। মাদক, চোরাচালান রোধে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষসহ সকলের সহযোগিতা কমনা করেন তিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট