অনলাইন ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ আজ শনিবার দেশে আনা হবে। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের একান্ত সচিব এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ দেশে আনা হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে অন্যান্য নেতারা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের কফিন গ্রহণ করবেন।
এরপর সৈয়দ আশরাফের মরদেহ নেওয়া হবে ২১ বেইরি রোডে তার সরকারি বাসভবনে। এরপর রাতে মরদেহ রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমঘরে।
রবিবার (০৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফের জানাজা হবে। এরপর হেলিকপ্টারে করে মরদেহ নেওয়া হবে সৈয়দ আশরাফের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে; দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জানাজা হবে। এরপর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে জানাজার পর আশরাফের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বাদ আছর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় শেখ হাসিনা গ্রেফতার হলে, দলের হাল ধরেন তিনি। দুই মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পর ২০১৬ সালের কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন সৈয়দ আশরাফ।
সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সামলেছেন। ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারে থাকা অবস্থায় বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ আশরাফ। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাসপাতালে থেকেই অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তিনি থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন সৈয়দ আশরাফ।
বৃহস্পতিবার (০৩ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আশরাফুল ইসলাম ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে কয়েক মাস ধরে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।