মাদক মুক্ত হবে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নির্দেশ। এই শ্লোগান নিয়ে সরকার যখন মাদক নির্মূলে কঠোর অবস্থানে তখন এক শ্রেণির কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা নিজেরাই মাদক দ্রব্যের ব্যবসা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের থানা লেভের কতিপয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মাদক দ্রব্যসহ গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের দল। আমার কথা সেটা নয়, কথা হলো যারা মাদক দ্রব্য সেবন করে তারা আসলে ধংস করে কার? পরিবারের নাকি দেশের? তবে ক্ষতি যার হোক নিজের জীবন নিজের হাতে তিলে তিলে ক্ষয় করছে। মনে রাখবেন আপনার সন্তান মাদক খাচ্ছেনা, মাদক আপনার সন্তানকে খাচ্ছে। মূল কথা হলো প্রশাসন আপনার সন্তানকে কখনো মানূষের মত মানুষ করে দেবে না। আপনার সন্তানকে প্রকৃত মানুষ করতে চাইলে আপনারই উদ্যোগী হতে হবে। না হলে ধংস হবে আপনার কষ্টের সাজানো সংসার। আপনার সন্তান কার সাথে সঙ্গ দিচ্ছে তার সাথে মিশলে বিপদ গামী হবে কি না। এগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। তার বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। তাকে সত্য পথ দেখাতে পরিবার সহ সমাজের সকলকে সচেতন হতে হবে। শিশু কিশোর বয়সে ছেলে-মেয়েরা যেনো লেখা পড়ায় মনোযোগ দিতে পারে সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এছাড়া তাদেরকে খেলা ধুলার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। এতে করে শিশু কিশোর-কিশোরীরা খুব বেশি বিপদগামী হবে বলে আমি মনে করি না। মাদকের বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। আর এই সামাজিক ব্যধি দূর করতে প্রচুর পরিশ্রম করে যাচ্ছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী র্যাব, পুলিশ, বিজিবির কর্মকর্তা সহ সদস্যরা। যদি সরকারের মাদক নির্মূলের এই মহৎ উদ্যোগ অব্যহত থাকে এক সময় দেশ থেকে মাদকদ্রব্য নির্মূল করা সম্ভব। আমার পক্ষ্য থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি তাদেরকে, যারা সমাজকে মাদকমুক্ত করার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো যারা প্রকৃত মাদকদ্রব্য ব্যবসা ও সেবন করে তাদের ছাড়া যেনো নিরিহ সাধারণ মানুষকে হয়রানী করা না হয়। মাদকদ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তিরা সমাজের ব্যাধী। আর এই ব্যাধী দুর করতে সরকারের পাশাপাশী পরিবারের অভিভাবকদের সচেতন হওয়া উচিৎ। তা না হলে মাদকদ্রব্য নির্মূল করা কতটা সম্ভব? সে প্রশ্ন থেকে যায়। যারা মাদকদ্রব্য সেবন করে তাদের স্ত্রী সন্তান মা-বাবা, ভাই-বোন কিছু ভালো লাগে না। তারা মাদক দ্রব্যকে আপন মনে করে ইয়াবাকে নাম দিয়েছে বাবা। আর এই কথিত বাবাই হলো জাতীর যুব সমাজের ধংসের মূল কারণ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মাদক দ্রব্য ঢুকিয়ে দিয়ে জাতীর মেধা শুন্য করছে এক শ্রেণির সুবিধাবাদী লোক। এদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর হস্থে দমন করা হোক। আমার ধারনা আমি যাদের নিয়ে লিখেছি তারা আমার এই লেখা নাও পড়তে পারে। আর অল্প একটু লিখে আমার লেখা শেষ করব। তা হলো পিতা-মাতার উচিত আপনার সন্তান কার সাথে আড্ডা দিচ্ছে। এগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে, না হলে সঙ্গ দোষে নষ্ট হয়ে যাবে আপনার আদরের সন্তান। মনে রাখবেন সৎ সঙ্গ সর্গ বাস হলেও, অসৎ সঙ্গ সর্ব নাশের মূল কারন। আমার শেষের কথাটা হচ্ছে, আপনার সন্তানকে যদি মানূষের মত মানুষ করতে চান সেক্ষেত্রে নিজেকে একটি প্রশ্ন করবেন। মাদক নির্মূল করবে কে সরকার না কি পরিবার? তবে কেউ মাদক নির্মূল করুক বা না করুক। আপনাকে শ্লোগান তুলতে হবে ”মাদক থেকে দূরে থাকো, নিজে কে সুস্থ্য রাখো”। ”যুব সমাজ বাচাও, মাদক হটাও”। ”হটাও মাদক, বাঁচাও দেশ এরই নাম বাংলাদেশ”
লেখক- মোঃ নুরুজ্জামান, চেয়ারম্যান, নীলাকাশ গ্রুপ, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা
মাদক নির্মূল করবে কে সরকার নাকি পরিবার?
পূর্ববর্তী পোস্ট