দেশের খবর: সরকার পরিচালনায় গত ১০ বছরের সাফল্যে দলকে আরও সুসংহত এবং সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করতে আওয়ামী লীগের আগাম সম্মেলনের সম্ভবনা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছেন, অক্টোবরের বদলে আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাসে সম্মেলন হতে পারে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন: তৃণমূল আওয়ামী লীগকে আরো বেশি সংগঠিত এবং ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবার আগেভাগেই সম্মেলন করার কথা ভাবছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর দিন ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দলীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করতে গণভবনে গেলে সেখানেই সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
অবশ্য তারা বলছেন, ইতিপূর্বেই আগামী সম্মেলনের বিষয়টি আলোচনায় ছিল। জাতীয় নির্বাচনের আগেই দলীয় সভাপতি এ বছর মার্চে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলেন।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে: মার্চ নয় বরং এপ্রিল কিংবা মে’তে সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কেননা মার্চ মাস জুড়ে সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও বর্তমান সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনেই আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেটা কখন হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় সভাপতি।
তিনি বলেন: বাঙালির সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। এখন আমাদের নতুন রাজনৈতিক প্রজন্ম তৈরি করতে হবে। তা না হলে আমরা ঐতিহ্য হারাবো।
এবারের সম্মেলনে সভাপতি ছাড়া নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। কেননা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা একাধিক দলীয় ফোরামে ঘোষণা দিয়েছেন: নতুনদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেবেন।
২০১৬ সালের ২২ ও ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে এবছর অক্টোবরে পরবর্তী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।