প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার কুলিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল ও তার সহযোগী মোশাররফ কর্তৃক রাস্তা নষ্ট করে ডাম্পার ট্রাকে মাটি বহনের প্রতিবাদ করায় আওয়ামীলীগ কর্মীকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, মারপিট ও হত্যা গুমের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনার্কীন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাতক্ষীরার কুলিয়া গ্রামের মৃত ইসলাম গাজীর ছেলে মো. আব্দুর রশিদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন কৃষক ও মৎস্যচাষী। দীর্ঘ ৩৫ বছর কুলিয়া বৈচনা এলাকায় নিজস্ব ও হারী নেওয়া সম্পত্তিতে মৎস্য ঘের ও ধান, চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। ঘের পাহারা দেওয়ার সুবিধার্তে ওই ঘেরের পাশেই ঘর নির্মাণ করে বসবাস করি। গত কয়েক মাস পূর্বে কুলিয়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম ও তার সহযোগি মৃত দিদারের পুত্র মোশাররফ বৈচনার বিভিন্ন রেকর্ডীয় সম্পত্তি থেকে জোরপূর্বক এবং সরকারি খাল থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রয় করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব মাটি ডাম্পার ট্রাকে করে বহন করার ফলে সেখানকার ধানের জমির এবং মৎস্য ঘেরের ভেড়ীগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে শত শত ঘের ব্যবসায়ী ও ধান চাষকারীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। এছাড়া আমারও ঘেরের ভেড়ী ভেঙে গেছে। আসাদুলকে ছোট গাড়ীতে মাটি বহন করতে বললে সে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, হত্যা ও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শণ করে। ২৯/১/১ ৯ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানার একটি নাশকতার পরিকল্পনার মামলায় আমার নাম জড়িয়ে দেয় আসাদুল। এঘটনায় পুলিশ আমাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। অথচ আমি স্থানীয় আওয়ামীলীগের একজনকর্মী। আমি জেলে থাকায় আসাদুল গং তার ব্যবসা অব্যাহত রাখে। ৩৪ দিন ওই মিথ্যা মামলায় জেল খেটে বাড়ি ফিরে দেখি ওই রাস্তার উপর দিয়ে অতিরিক্ত মাটি বোঝায় ট্রাক চলাচলের কারণে আমারসহ অন্যান্য ঘের মালিকদের পানি তোলার পাইপগুলো ভেঙে গেছে। আমি পাইপগুলো সংস্কারের জন্য সেখানে মাটি খুড়ে একটি বসানোর পর ওই কুচক্রী অর্থলোভী প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদুল গং সাতক্ষীরা সদর থানা ও দেবহাটায় রাস্তাকেটেছি বলে মিথ্যা রাস্তাকাটার অভিযোগ দায়ের করে। এঘটনায় দেবহাটা থানা পুলিশ আমাকে আটক করে। তবে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীদের সুপারিশে আমাকে ছেড়েও দেন। এরপর সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ রাতে আমাকে আটক করার জন্য বাড়িতে হানা দেয়। আমি তাদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সরে যাওয়ার কারণে তারা আমাকে আটক করতে পারেনি। এখন প্রায় প্রতি দিন ও রাতে পুলিশ আমার বাড়িতে যাচ্ছে। আমি ভয়ে বাড়িতে থাকতে পারি না। এমনকিও পাশ্ববর্তী ঘের মালিক আজিজুল, আজিতসহ অনেকেই থাকতে পারে না।
তিনি আরো বলেন ৪ লক্ষ টাকা দিলে আমার পিছন থেকে সরে যাবেন আসাদুল। ইতোমধ্যে তাকে ৫০ হাজার টাকাও প্রদান করি। তাদের বিরুদ্ধে এক্ষনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অত্র এলাকার ধান ও মৎস্যঘের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে এলাকার ছাড়তে হবে।
এব্যাপারে তিনি আসাদুল গংদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও শাস্তির সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।