দেশের খবর: সাত বছর প্রেম। এরপর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মাহমুদুল হাসান (২৮) ও জুলেখা খাতুন (২৫)। বেশ ভালোভাবেই চলছিল তাদের সংসার। হঠাৎ একটি মোবাইল ফোনের কলে ঘটে যায় বিপত্তি। স্বামী মাহমুদুল সন্দেহের চোখে দেখতে থাকেন স্ত্রী জুলেখাকে। আর বোরকা পড়ে স্ত্রীর উপর নজরদারি করতে গিয়েই বিপাকে পড়েন স্বামী।
সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর আনন্দমোহন কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। তবে যুবকের স্ত্রী পরিচয় দানকারী ওই শিক্ষার্থী জানান, সে তার কেউ না। অন্যদিকে, আটক যুবকের নাম মাহমুদুল হাসান। তার বাড়ি শেরপুর জেলার সদর থানায়। সে বলছে, তার কথিত স্ত্রী ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে কলেজে ক্লাস চলাকালে বোরকা পরে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন ওই ব্যক্তি। সন্দেহজনক ঘোরাফেরা দেখে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। পরে ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদে, সে তার স্ত্রীকে নজরদারি করতে কলেজে ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রবেশ করেছে বলে জানায়।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, ‘ওই যুবক যে শিক্ষার্থীকে তার স্ত্রী বলে দাবি করেছে, সেই শিক্ষার্থী বলেছে মাহমুদুল হাসান তার স্বামী না। তিনি (ছাত্রী) তাকে চেনেন না। ওই নারী সরকারি আনন্দমোহন কলেজ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থী। আজ তার মৌখিক পরীক্ষা ছিল। ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে কথিত স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল জানান, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বোরকা পরে ছদ্মবেশে কলেজে প্রবেশের ঘটনাটি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন মাহমুদুল হাসান।
এরপরও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কথা বলা হচ্ছে তার স্ত্রী জুলেখা খাতুনের সঙ্গেও। তারা দু’জনেই আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনও ট্র্যাক করা হচ্ছে। এরপর তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে।