বিদেশের খবর: কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না। সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশ মামলার শুনানিতে আজ এই নির্দেশ দিল ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে রাজীব কুমারকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশও দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়া নিয়ে শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি চলছে। সিবিআই-এর তরফে একটি হলফনামা আজ জমা দেওয়া হয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালতে।
গতকালই বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। দেশটির শীর্ষ আদালতে সিবিআইয়ের হয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেছিলেন, সিবিআই বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বৈরথে সংবিধান ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজীবকে ‘সম্ভাব্য অভিযুক্ত’ আখ্যা দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও তোলে সিবিআই।
একই সঙ্গে সিবিআই-এর আর্জি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে আত্মসমর্পণ করতে বা সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে নির্দেশ দিক। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতে রাজ্য প্রশাসন বাধা দিচ্ছে বলে আদালত অবমাননার মামলা হোক।
এর পরই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের আবেদন পড়েছি। এতে (নথি লোপাটের প্রমাণ) কিছুই নেই।’’ একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ যদি প্রমাণ করতে পারেন, উনি প্রমাণ লোপাট করেছেন বা এক বারও সে কথা ভেবেছেন, তা হলে এমন শিক্ষা দেব যে ওঁকে অনুতাপ করতে হবে।’’
সিবিআই সোমবার রাতেই একটি হলফনামা জমা দিয়ে দেয়। কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কোন দিকে গড়াবে, তার অনেকটাই দেশটির সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। রাজীবের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি গতকাল বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। সাক্ষী হিসেবে রাজীবের কাছে সিবিআইয়ের যা প্রশ্ন ছিল, তার লিখিত জবাব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারি সিট-এর প্রধান হিসেবে সারদার নথিও তিনি সিবিআইকে দিয়েছেন।