দেশের খবর: কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক নতুন ধাপে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার টানেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে নগরীর পতেঙ্গায় এক সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়নের ধাপে ধাপে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে একটা সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তারই আরেকটি নতুন ধাপে আমরা প্রবেশ করলাম। সেটা হলো কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ।’
‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এত বিশাল একটা নদীর নিচ দিয়ে প্রথম টানেলটা বাংলাদেশেই নির্মিত হচ্ছে। ২০১০ সালেই এই টানেল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলাম,’ যোগ করেন সরকারপ্রধান।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিমানে করে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় টানেল নির্মাণ এলাকায়। এ ছাড়া এদিন তিনি বন্দরনগরীর প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও উদ্বোধন করেন। এটি নির্মিত হচ্ছে নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নয় হাজার ৮৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ সহায়তা তিন হাজার ৯৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং চীন সরকারের অর্থ সহায়তা পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
দুটি টিউবসংবলিত মূল টানেলটির দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার এবং টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার ওভারব্রিজ।