কলারোয়ায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্র নিহত

কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তেলবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেলো ১২বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রের। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলা সদরের প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত আবু রায়হান কাফি (১২) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহরের বালিয়াগাছা গ্রামের মহিদুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রামেরডাঙ্গা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে আলী হোসেন (১২) ও সদর উপজেলার শেল্লি গ্রামের আব্দুস সবুর গাজীর ছেলে ওমর ফারুক (১৩)। প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানান- ওই ৩ কিশোর দু’টি বাইসাইকেলযোগে সাতক্ষীরার দিকে যাওয়ার সময় বিপরীতমুখি দ্রুতগতির একটি তেলবাহী ট্রাক তাদেরকে সামনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় সাইকেলে থাকা আবু রায়হান কাফি রাস্তার উপর ছিটকে পড়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এসময় অপর সাইকেলে থাকা দুই কিশোর আহত হয়। ঘাতক তেলবাহি ট্রাকটি পালিয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা কাঠের গুড়ি ফেলে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের রাস্তা অবরোধ করে রাখে। প্রায় আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওই সড়কে। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান- সড়ক দূর্ঘটনায় তেলবাহী ট্রাকের চাপায় এক কিশোর নিহত হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ সেখানে পৌছায়। নিহতের লাশ উদ্ধার ও আহত দুই কিশোরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। যান চলাচলা স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক ও চালককে পালিয়ে গেছে। পুলিশ থানার সিসি ক্যামেরায় ট্রাকের নাম ও নাম্বার দেখে ঘাতক ট্রাকটি আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আহত কিশোর আলী হোসেন জানায়- তারা তিন জন সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। গত শনিবার তারা তার বোনের বাসা বাগআঁচড়ায় বেড়াতে যায়। সোমবার বিকেলে বাইসাইকেলযোগে তারা সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়ি ফিরছিলো। কলারোয়া কোল্ডস্টোরেজ মোড় পেরিয়ে প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পাশের কাঠের ‘স’ মিলের সামনে রাস্তার টার্নিং-এ হঠাৎ সামনের দিক থেকে তেলবাহি লড়িটি আবু রায়হান কাফির সাইকেলকে সামনাসামনি মেরে দেয়। এতে সে ছিটকে ওই ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে সেখানেই মারা যায়। আমরা রাস্তার বাম পাশে পড়ে আহত হই। এদিকে কিশোর আবু রাহান কাফির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।