খেলার খবর: হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম টেস্টে লড়াই করেও হার দেখলো বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ৫২ রানে হেরেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি তুলে লড়াকু জুটিতে প্রতিপক্ষকে ভোগালেও নিউজিল্যান্ডের বোলিং তোপে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪২৯ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু হলো ১-০ ব্যবধানে হার দিয়ে।
প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যাওয়াই ভোগালো বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে কিউইরা ৬ উইকেটে ৭১৫ রান তুলে ৪৮১ রানের বিশাল লিড দিলে চতুর্থ দিন পঞ্চম উইকেটে বীরোচিত ব্যাটিংয়ে প্রায় দুই সেশন নিউজিল্যান্ডের ঘাম ছুটিয়েছেন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ।
উল্টো সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর একটা সময় দ্বিতীয় ইনিংসে লিড পাওয়ার সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছিলো। কিন্তু নতুন বল পাওয়ার পরেই কিউইদের বোলিং সর্বনাশ ডেকে আনে বাংলাদেশের। শুরুতে ১৭১ বলে ১৪৯ রান করে ফেলা সৌম্যকে ভেতরে ঢুকে পড়া বলে বোল্ট পরাস্ত করলে ভেঙে যায় মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার করা ২৩৫ রানের লড়াকু সেই জুটি।
অবশ্য তার আগে দেশের হয়ে ৯৪ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তিনি। কিউদের শর্ট লেন্থ ও বডি লাইনের আক্রমণ তুচ্ছ করে মারমুখী ছিলেন দিনের শুরু থেকে। কিন্তু তার বিদায়ের পর চা বিরতির আগে ব্যাটিংয়ে নামা লিটন, মিরাজরা থিতু হতে পারেননি বেশিক্ষণ। ইনসাইড এজ হয়ে বোল্টের বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন লিটন। তারপর মিরাজ নেইল ওয়াগনারের শর্ট ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন দ্রুত। অপরপ্রান্ত যখন অরক্ষিত হয়ে পড়ে টেলএন্ডারদের নির্দেশনা দিয়ে একার লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ।
আবু জায়েদ এরপর ফিরলে বেশিক্ষণ থাকেননি রিয়াদও। তার আগে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। ২২৯ বলে রিয়াদ টেস্টের ক্যারিয়ার সেরা ১৪৬ রানের ইনিংস খেলে সাউদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে লেজ গোটাতে সময় লাগেনি। শেষ উইকেটে এবাদতকে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসবন্দী করান সাউদি। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে যায় ৪২৯ রানে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন বোল্ট। ৩টি টিম সাউদি ও দুটি নেইল ওয়াগনার। ম্যাচসেরা ডাবল সেঞ্চুরি করা কেন উইলিয়ামসন।