বিদেশের খবর: ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার ঘটনায় মুসলমান অভিবাসীদের বিরূপ মন্তব্য করেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক অনুষ্ঠানে তাঁর মাথায় ডিম ভাঙে এক কিশোর। পরে ওই কিশোরকে মারধর করেন সিনেটর নিজেই।
ফ্রেজার অ্যানিং অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের সিনেটর। স্থানীয় সময় আজ শনিবার এ ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ মাধ্যম দ্য অস্ট্রেলিয়ান বিষয়টি জানায়। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।
ভিডিওতে দেখা যায়, সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। পেছনে একটি ছেলে মোবাইল ফোনে তা ভিডিও করছে। হঠাৎই সে অন্য হাতে থাকা ডিমটি ফ্রেজারের মাথায় ভাঙে। ফ্রেজার ঘুরে গিয়ে ছেলেটিকে চড় মারেন। মারধরের সময়ও ছেলেটি তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিল।
গতকাল শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টাচার্চের মসজিদে ঢুকে নির্বিচারে গুলি করে এক সন্ত্রাসী। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ওই মসজিদেই নামাজ পড়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। পরে গুলির শব্দ শুনে ফিরে যান তারা।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ওই ঘটনার পর টুইটারে বেশকিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘এখনো কি মুসলমানদের অভিবাসন ও সহিংসতার যোগসূত্র নিয়ে কেউ বিতর্ক করবেন?’
ফ্রেজার আরো লেখেন, ‘ গুলির ঘটনায় সব সময়ের মতো বামপন্থী রাজনীতিবিদ আর গণমাধ্যম অস্ত্র আইনের দিকে আঙ্গুল তুলবে বা যারা জাতীয়তাবাদী ধারণায় বিশ্বাসী তাদের দায়ী করবে। যেটা একেবারেই পাগলামি।’
ওই সিনেটর আরো বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ হচ্ছে অভিবাসন কর্মসূচি, যা উগ্র মুসলিমদের নিউজিল্যান্ডে থাকার অনুমোদন দিচ্ছে।’
তবে ওই মন্তব্য করে এরই মধ্যে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছেন ওই সিনেটর। খোদ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পর্যন্ত নিন্দা জানিয়েছেন ওই মন্তব্যের। তিনি বলেন, ‘সিনেটর ফ্রেজারের ওই মন্তব্য বিরক্তিকর। এটা অস্ট্রেলিয়ার মন্তব্য নয়, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টেরও মন্তব্য নয়।’