আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাঈদ মেহেদী ও তার কর্মী-সমর্থকদের হামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে সদ্যনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদিসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ-সাতক্ষীরা সড়কের ফুলতলা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ। কালিগঞ্জ উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতি এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে।
অবরোধের কারণে সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকে। অবরোধে অংশ নেন উপজেলা নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী শেখ আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদি হাসান সুমন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রতনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম খোকন, ধলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন প্রমুখ। তারা জানান, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদি নৌকার সমর্থকদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।
উপজেলার তারালি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট দাবি করেন, বুধবার রাতে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম মোটর সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী কুশলিয়ায় তার ওপর দুই দফায় হামলা করে মারপিট করে। তারা তার গলায় পা চেপে রেখে হত্যার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালিগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে তাকে নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে।
এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারমান সাঈদ মেহেদি বলেন, আমি ঢাকায়। শুনেছি বুধবার রাতে রিয়াজ ভাই দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়েছেন। তিনি ও তার সমর্থকরা আমার নামে যা বলছেন তা সঠিক নয়। সাঈদ মেহেদি আরও বলেন, সত্যিকারে যদি কেউ তার ওপর হামলা করেই থাকে তবে তার বিচার হোক।
পূর্ববর্তী পোস্ট