বিদেশের খবর: ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া, ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র প্রস্তাব বাতিলের পর পার্লামেন্ট সদস্যদের বিকল্প ৪টি প্রস্তাব নিয়েও একমত হতে পারলেন না এমপিরা।
স্থানীয় সময় সোমবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমনসে কাস্টমস ইউনিয়ন এবং নরওয়ে-পদ্ধতির ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাজ্যকে একক বাজার ব্যবস্থায় রাখাসহ চারটি বিকল্প প্রস্তাবের ওপর ভোট হয়। কিন্তু সেই ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি একটি প্রস্তাবও।
হাউজ অব কমনসের নীতি নির্ধারণী এমপিদের ৪ ঘণ্টা বিতর্কের পর ভোটে সবগুলো প্রস্তাব অল্প ব্যবধানে বাতিল হয়ে যায়। প্রস্তাবগুলো হলো, যে কোনো ব্রেক্সিট চুক্তিতে ইইউ’র সঙ্গে যুক্তরাজ্য জুড়ে স্থায়ী এবং সর্বাত্মক কাস্টমস ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা, ইউরোপিয়ান ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন-ইএফটিএ’তে যোগদান এবং ইউরোপিয়ান ইকোনমিক এরিয়া-ইইএ’তে থেকে যাওয়া, পার্লামেন্টে পাস হওয়া যে কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি বাস্তবায়নের আগে এর পক্ষে গণভোটের আয়োজন এবং চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া রোধে পদক্ষেপ, প্রয়োজনে ব্রেক্সিট বাতিলে চূড়ান্ত ভোট।
এই ভোটগুলো আইনিভাবে বাধ্যতামূলক না হওয়ায় সরকারও এগুলোর মধ্য থেকে পাস হওয়া কোনোটি বাস্তবায়নে বাধ্য ছিল না। কিন্তু কোনো একটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাস হলে হয়তো ঝুলন্ত পরিস্থিতির একটা গতি হলেও হতে পারত।
এখন প্রস্তাবগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে বাতিল হয়ে যাওয়ায় টেরেসা মে’কে ১২ এপ্রিলের মধ্যে হয় ইইউ’র কাছ থেকে ব্রেক্সিটের জন্য সময় বাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে, নয়তো চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মে’র প্রস্তাবিত তিনটি খসড়া চুক্তি পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটে বাতিল হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী করণীয় নিয়ে ক্যাবিনেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।