অনলাইন ডেস্ক: ঘটা করে বিয়ে করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের শিবপুরি শহরের অরবিন্দ যাতাভ (নাম পরিবর্তিত) ও গুনা এলাকার দেবিকা (নাম পরিবর্তিত)। ২০১২ সালে বিবাহের পর দু’জনেই ঠিক করেন পুলিশে এসআই নিয়োগের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবেন। সেই অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী জোরদার পড়াশোনাও শুরু করেন। ২০১৩ সালে পুলিশে নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন দেবিকা। কিন্তু, অনুত্তীর্ণ হয়ে যান অরবিন্দ।
নিয়োগের পরপরই পুলিশ ট্রেনিং-এর জন্য বাড়ি ছাড়েন দেবিকা। স্বামী অরবিন্দের অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার পর থেকেই যেন আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। যে দেবিকা সবসময়ে একসঙ্গে থাকার কথা বলত, এক সুন্দর সংসারের কথা বলত— এ সব কথা যেন রাতারাতি তাঁর মুখ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ অরবিন্দের।
এমনকী, দেবিকা স্বামীর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া স্ত্রী-র সঙ্গে কথা বলারই নাকি সুযোগ তিনি পান না বলে অভিযোগ অরবিন্দের। পুলিশে নিয়োগের জন্য দেবিকা সারাক্ষণ অরবিন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেন। পুলিশে নিয়োগের প্রস্তুতিতে শ্বশুর-শাশুড়ি যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সে কথা সবাইকে বলে বেড়াতেন দেবিকা।
এহেন স্ত্রী-র মধ্যে আচমকা পরিবর্তনে খুবই অবাক হয়েছিলেন অরবিন্দ। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে বিবাহ বিচ্ছেদের কথা নাকি ঘোষণা করেছেন দেবিকা। জানিয়ে দিয়েছেন, অরবিন্দকে যেনতেন ভাবে বিবাহ বিচ্ছেদ দিতে হবে। বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজপত্র নিয়ে এসে তাতে অরবিন্দকে সই করতেও নাকি চাপ দিয়েছেন দেবিকা। স্বামী বিবাহ বিচ্ছেদ না দিলে নিজেই এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলেও নাকি দেবিকা জানিয়েছে।
গোটা ঘটনায় হতাশ অরবিন্দ আপাতত স্ত্রীর কর্মস্থলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশও জানিয়েছেন। একটা চাকরির জন্য স্ত্রীর এমন বদল মেনে নিতে পারছেন না অরবিন্দ। স্বামী তাঁর সঙ্গে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তার জন্য দাম্পত্যের সম্পর্কে এমন পরিণতিতে স্বাভাবিকভাবে হতাশাগ্রস্ত করে দিয়েছে অরবিন্দকে।