নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরায় ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পথে ফারজানা (৬) নামের এক মাদ্রাসা শিশু শিক্ষার্থী । ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে, সাতক্ষীরা শহরের বেসরকারি বুশরা হাসপাতাল ও ডা. জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সে বর্তমানে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি আছে।
ফারজানা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নলতা নওয়াপাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় নলতা নওয়াপাড়া সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার ৭ মে সকালে ফারজানার বাবা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা আমার মেয়েকে নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ নিয়ে যায়। সেখানে ডা. জাহিদুল ইসলামের সহকারী মো. শরীফ বলেন আপনারা বুশরা হাসপাতালে যান ঐখানে আপনারা উন্নত চিকিৎসা পাবেন। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ফোন করে বলে দিচ্ছি।
গত সোমবার আমার মেয়ের কানের টিউমার অপারেশনের জন্য ডা. জাহিদুল ইসলামের চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী সাতক্ষীরা শহরের বেসরকারি বুশরা হাসপাতালে ভর্তি করি। অস্ত্রোপচারের জন্য আমার মেয়েকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তারের চিকিৎসাপত্রের চিকিৎসা প্রদান না করে আমার মেয়ে ফারজানাকে ভুল ইনজকেশন প্রদান করে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়। ফারজানা বর্তমানে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ফারজানার অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৭২ঘন্টা না গেলে আমরা কোন কিছু বলতে পারব না। ফারজানার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
এ বিষয়ে, ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে আমি যে চিকিৎসাপত্র দিয়েছিলাম বুশরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী তাকে চিকিৎসা প্রদান করে নাই। তার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
এ ব্যাপারে, বুশরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, ডাক্তার চিকিৎসাপত্র অনুযায়ী আমরা ফারজানাকে চিকিৎসা প্রদান করি। কিন্তু ভুলবশত তার শরীরে অন্য ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়। যা আমাদের কাম্য ছিল না। আমরা এর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।