রাজনীতির খবর: সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার (১৫ মে) দেশে ফিরছেন। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে ওবায়দুল কাদেরের।
সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে থাকা একটি সূত্রে আরও জানা গেছে, অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে ওঠার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এখন পুরোটাই সুস্থ। এ অবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তার দেশে ফেরার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
সফল বাইপাস সার্জারির পর গত ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর থেকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য ওই হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। এরই মধ্যে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠা ওবায়দুল কাদের ভাড়া বাসার পাশে ফাঁকা জায়গায় দীর্ঘক্ষণ হাঁটাচলা করছেন প্রায় প্রতিদিন। সুস্থ অবস্থায় থাকার মতো এখন তিনি প্রায় প্রতিদিন ভোরে প্রাতভ্রমণও করছেন।
গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের গত ৩ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন। শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে তিনটি ব্লক পাওয়া গেলে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
এ অবস্থায় ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওবায়দুল কাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিলিপ কোহের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে তার। ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি করা হয়। ছয় দিন পর তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেও ফলোআপ চিকিৎসার জন্য এখনও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন তিনি।