আশাশুনি ব্যুরো: পিতা-মাতার কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আশাশুনি উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এসএম রফিকুল ইসলাম। মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৪.৪৯ টার দিকে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন, (ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলায়হি রাজিউন)। মৃতকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫৪বছর। গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ঢাকায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে বুধবার ভোররাতে মরহুমকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসা হয়। এদিন বাদ যোহর গুনাকরকাটি খানকা শরীফ চত্বরে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন, গুনাকরকাটি খায়রিয়া আজিজিয়া কামিল মাদ্রাসার মুফাচ্ছির মাওঃ মোঃ রবিউল ইসলাম। এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, পৌর মেয়র আলহাজ্ব তাসকিন আহম্মেদ চিশতি, জেলা বিএন পি’র সাবেক সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, আব্দুল আলিম, তরিকুল হাসান, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি শাহজান আলী, রফিকুল ইসলাম মোল্যা, জেলা পরিষদ সদস্য এস এম দেলোয়ার হোসাইন, মহিতুর রহমান, এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল, ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল, আ ব ম মোছাদ্দেক, আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু সাঈদ, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনুল ইসলাম নান্টা, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এ্যাড. আব্দুস সাত্তার, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাষ্টার আব্দুল ওয়াহেদ, দেবহাটা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস, জামায়াত নেতা নুরুল আফসার মোহাম্মদ মোরতাজা আলী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলা ও উপজেলার সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও হাজার হাজার মুসল্লিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে বিকাল ৩টা ১৫মিনিটে কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে মরহুমের তৃতীয় জানাজা শেষে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। তৃতীয় নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের পৌত্র হাফেজ লাবিব আহম্মেদ। উল্লেখ্য; ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মৃত মোসেলউদ্দীন সরদারের ছেলে। তিনি গত ১৫ মে শ্যামনগরে তার এক রাজনৈতিক সহকর্মীর স্ত্রীর জানাযা নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে, চাম্পাফুল দীঘিরপাড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক ভাবে আহত হন। দ্রুত তাকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তির পর সাতক্ষীরা ফারজানা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে সি বি হাসপাতালে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শুক্রবার (১৭ মে) রাতে আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকায় ইবনেসিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে পিজি হাসপাতালে নেওয়ার তোড়জোড় চলাকালে মঙ্গলবার তিনি মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন। মৃতকালে তিনি স্ত্রী, ১-পুত্র, ২-কন্যা সন্তানসহ বহু গুণগ্রাহী, সহযোদ্ধা, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। এমন জনবান্ধব নেতার মৃত্যুতে আশাশুনি উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট