আসাদুজ্জামান: ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ও কার্গো ওয়েলফেয়ার ইউনিয়নের ডাকা চার দিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।
ডিজিটাল পদ্ধতি চালুর কারনে আমাদানী-রপ্তানীতে ধ্বস নামায় সে দেশের সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ও কার্গোওয়েল ফেয়ার ইউনিয়ন গতকাল মঙ্গলবার থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারন ব্যসায়ীরা।
ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জানান, চলতি সপ্তাহে ভারতীয় কাষ্টমসের নির্দেশে ঘোজাডাঙ্গা শুল্কষ্টেশনে অনলাইনে (ডিজিটাল পদ্ধতিতে) দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। জনবল কম ও অদক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা অনলাইনে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করায় প্রচুর সময় ক্ষেপনের কারনে ভোমরা ও ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম হঠাৎ ৭০ ভাগ হ্রাস পায়। আগে যেখানে প্রতিদিন ৩/৪ ”শ পন্যবাহী ট্রাক বন্দরের প্রবেশ করতো সেখানে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হওয়ায় দিনে ৫০/ ৬০ টির বেশী গাড়ী ঢুকছে না বন্দরে। এর প্রতিবাদে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ও কার্গোওয়েল ফেয়ার ইউনিয়ন চার দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয়। ধর্মঘটের প্রভাবে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় প্রায় আড়াই হাজার আমদানী পন্য বাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে বলে জানান সাধারন ব্যবসায়ীরা ।
ভোমরা সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ও কার্গোওয়েল ফেয়ার ইউনিয়নের ধর্মঘটের কারনে অচল হয়ে পড়েছে ভোমরা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম।
রাজস্ব কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, ধর্মঘটের কারনে সরকার প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে ।
ভোমরা শুল্কষ্টেশনের সহকারী পরিচালক নিয়ামুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আজকের মধ্যে নিষ্পত্তি হতে পারে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আর নিষ্পত্তি হলে আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট