নিজস্ব প্রতিবেদক : পর পর তিনটি বড় ধরনের চুরির ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে সাতক্ষীরা শহরবাসীর মধ্যে। তিনটি চুরির মধ্যে দুটি চুরি হয়েছে সন্ধ্যায়।
আশ্চার্য্য জনক হলেও চুরির ঘটনা গুলো ঘটেছে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সন্নিকটে। এবিষয়ে অত্র এলাকার মানুষের মধ্যে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা কামারপাড়া এলাকার অনীল কুমার সাহার পুত্র অজয় কুমার সাহা পরিবার নিয়ে পাশে কীর্ত্তণ শুনতে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন তার জানাল গ্রিল কাটা। তারা বাড়ি না থাকার সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা তার ঘরের আলমারি ভেঙে ১৪ ভরি সোনা, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ২৫ টি শাড়ী চুরি করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন জানান।
গত ২০ মে সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সিভি হাসপাতালে কর্মরত প্রকৌশলী মধ্যকাটিয়া এলাকার শংকর শেখর তার পরিবার নিয়ে বাজারে আসেন। বাড়ি ফিরে দেখেন তার জালানার গ্রিল কেটে ৩ ভরি ওজনের সোনার চেইন, দুটি সোনার আংটিসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
২১ মে রাতে শহরের নারকেলতলাস্থ রূপালী ট্রেডার্সের সার্টার কেটে ১৩ পিচ টায়ার, ৫ বালতি মবিল ৫০ পিচ টিউব ও ১০০ পিচ রিং টেপ অজ্ঞাত চোরের চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৭লক্ষ টাকা।
একই এলাকায় পর পর এধরনের ৩টি বড় চুরির ঘটনায় শহরবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলছেন, বর্তমান কাটিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এর দায়িত্বে অবহেলার কারণে এধরনের অপরাধ কর্মকান্ড ঘটছে। তারা অবিলম্বে ওই তিনটি চুরির ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে কাটিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ তছলিম হোসেন বলেন, হঠাৎ চুরির ঘটনা দু:খ জনক। আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি চোরদের ধরার জন্য।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। মামলাও হয়েছে। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
1 মন্তব্য
এইসবগুলোর এবং গত এক বছরের সকল চুরির সাথে স্থানীয় পুলিশ ও তাদের র্সোস্ রা জড়িত।
গত ১১/১২ মাসের সকল চুরির সাথে একটা মিল আছে, সেটা হলো তখন ওই সকল বাড়ির কেউ তাদের বাড়িতে উপস্থিত থাকে না।
পুলিশের ওই চোর গ্রুপটা চুরির আগে চুরি হওয়া ওই বাড়ির সদস্যদের পুলিশের মোবাইল ট্রেকিং মেশিন দিয়ে নজরদারির মধ্যে রাখে।
গত এক বছরে সাতক্ষীরা শহরে মোট ৯১ টা চুরির ঘটনার কোন মালামাল উদ্ধার হইনি। কেউ গ্রেফতার হয়নি। চুরি বন্ধও হয়নি।