আমি সোহেল বেপারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। আমার বাড়ি রাজবাড়ী সদর থানার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নে। আমি এক জীবন্ত নুসরাতের ভাই বলছি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমার বোনকে চারজন বোরকা পরিহিত লোক বাড়ির বারান্দা থেকে তুলে পেছনের পাটখেতে নিয়ে হাত, মুখ, চোখ বেঁধে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। বোন ( যুলি) প্রথমে কোন শব্দই করতে পারেনি, পরে অনেক কষ্ট করে গোঙানির শব্দ করে যা মা টের পায় এবং পাটখেতের পাশে গেলে বোরকা পরিহিত দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তারা কেরোসিন এনেছিল কিন্তু মানুষের শব্দ শুনে পালিয়ে যায় এবং কেরোসিন ঢালতে পারেনি শুধু আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। পাটখেত ভিজে ছিল কেরোসিনে। বোন গড়াগড়ি দেয় এতে শরীরের কিছু অংশ পোড়ার পরেও বেঁচে যায়। এই ঘটনার পেছনের ঘটনা; শিল্পি নামের পাশের বাড়ির মহিলা (যার পেছনে রাঘব-বোয়াল আছে), আমার বোনকে পহেলা বৈশাখের দুই দিন আগে বাজার থেকে ফেরার পথে কিছু বখাটে ছেলেদের দিয়ে (বোন চিনে না) নির্জন পথে ধরিয়ে অনেক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে ও কিছু ছবি তোলে। পরবর্তীতে ঐ ছবির কথা বলে আমার বোনের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। আমার বোন সব কথা পুলিশকে বলে দেবে বললে, গায়ে আগুন লাগিয়ে বোনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আগুন লাগার পর পুলিশ আসে এবং সব দেখে শিল্পিকে শাসিয়ে যাওয়ার পর; আর কোনো তৎপরতা দেখিনি। আমার পরিবার জীবনের ঝুঁকিতে আছে। আমি আমার বোনকে নিয়ে পালিয়ে আছি। আর যারা আগুন দিল; শিল্পি ও রাঘব-বোয়ালরা বহাল তবিয়তে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার বোনের গায়ে আগুনের সুষ্ঠু তদন্ত চাই এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই। কাল যদি দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন দিতে পারত আজ আরেকটা নুসরাত ট্রাজেডির জন্ম হত। # মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমার বোনকে এবং পরিবারকে রক্ষা করুন।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)