প্রেস বিজ্ঞপ্তি: অদ্য ৮ জুন ২০১৯ সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গত ৩০ মে ২০১৯ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে বর্বরোচিত হামলার ঘটনাকে সংঘর্ষ এবং সাংবাদিকরা নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বলে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত পক্ষে ঐদিন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। ঐদিন একদল সন্ত্রাসী প্রেসক্লাবে ঢুকে সেখানে অবস্থানরত সাংবাদিকদের উপর অর্তকিত হামলা ও মারপিট করে। আর একদল সন্ত্রাসী প্রেসক্লাবের সামনের চত্বরে অবস্থান নেয়। আরো একটি দল সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির ভাই মীর মাহমুদ আলী লাকী ও মাহী আলমের নেতৃত্বে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা ও শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অবস্থান নেয়। যাহা পুলিশের সিসি টিভির ফুটেজ দেখলে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হবে। এমনকি হামলা শুরুর প্রাক্কালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সিসি টিভির সংযোগ বিচ্ছিন্নের পূর্ব পর্যন্ত যে রেকর্ড রয়েছে তার মাধ্যমেও নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি প্রমাণিত হবে। কয়েক স্তরে অবস্থান নেয়া কয়েকশ হামলাকারীর মধ্যে চার / পাঁচজন সাংবাদিক থাকলেও অন্যরা সবাই সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত ব্যক্তি ছিল। আমরা আশা করিছিলাম মাননীয় সংসদ সদস্য অনেক বিলম্বে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নেবেন। কিন্তু তিনি তা না নেওয়ায় আমরা হতাশ হয়েছি। আমরা উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদে, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সামাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম শাহীন গোলদার, অর্থ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল জলিল, দপ্তর সম্পাদক মো. ইব্রাহিদ খলিল, নির্বাহী সদস্য সেলিম রেজা মুকুল, গোলাম সরোয়ার, ইয়ারব হোসেন, জি.এম আদম শফিউল্লাহ ও কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জীসহ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য।