খেলার খবর: জিতলে দলের সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। জয়ের কাছে এসে হারলে বেরিয়ে আসে ছোট-খাট দুই-একটা ভুল। আর আত্মসমর্পণ করে হারলে ব্যাটিং-বোলিং কিংবা ফিল্ডিং কোন কিছুই ঠিকঠাক থাকে না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১০৬ রানের বড় হারে অবশ্য একটা ভালো আছে। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর বাইরে সব বিভাগেই মাশরাফিদের স্পষ্ট দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। এমনকি দলের পরিকল্পনা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে শনিবার টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। ব্যাটিং উইকেট হলেও শুরুতে উইকেটের সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। কিন্তু পারেননি। বরং বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলে ১২৮ রান। জনি বেয়ারস্টো ৫১ রান করে আউট হন।
বাংলাদেশ এ নিয়ে তিন ম্যাচে তিনরকম বোলিং আক্রমণ হাজির করাল। বোলিংয়েও জুটি বলে একটা কথা আছে। সেটা দাঁড় করাতে পারেনি টাইগাররা। পোমসদের দ্বিতীয় উইকেট পড়ে তাই ২০৫ রানে। জো রুট ২১ করে ফিরে যান। কিন্তু ভিত্তি গড়ে দেন। ওই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে জেসন রয় খেলেন ১৫৩ রানের ইনিংস। জস বাটলার ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ইয়ন মরগানের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান।
ব্যাটিং উইকেট। বড় রান তাড়া করতে হবে জেনেই বোলিং নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু পাহাড় টপকাতে হবে তা নিশ্চয় ভাবেননি তারা। সেই বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আউট হন সৌম্য। রান করেন মাত্র ২। সেট হয়ে ২৯ বলে ১৯ রান করে উইকেট ‘দান’ করে ফেরেন তামিম। দেখে খেলার দায়িত্ব নিয়ে হুট করে ডাউন দ্য উইকেটে এসে আউট হন তিনি। সাকিব এবং মুশফিক সেই চাপ সামাল দেন। গড়েন ১০৬ রানের জুটি। এরপর ৪৪ করে হতাশ হয়ে আরও একবার আউন হন মুশফিক। পরপরই ডাক মেরে ফেরেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওই চাপের মধ্যেই সাকিব তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ফেরেন ১২১ রান করে।
মাহমুদুল্লাহ এবং মোসাদ্দেক হোসেন সেট হয়ে যথাক্রমে ২৮ এবং ২৬ রান করে ফেরেন। রুবেলের চেয়ে ব্যাটিংয়ে এগিয়ে থাকায় দলে আছেন সাইফউদ্দিন। আগের ম্যাচে তার প্রমাণ দিলেও এ ম্যাচে ব্যর্থ তিনি। বাংলাদেশ তাই সাত বল হাতে রেখে অলআউট। বাংলাদেশের দশ উইকেটের নয়টিই নিয়েছেন ইংল্যান্ড পেসাররা। বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ১৫৩ কিলোমিটার গতি তুলেছেন ইংলিশ পেসার আর্চার। নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটারের আশপাশে বল করে নাভিশ্বাস তুলেছেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের। অথচ বাংলাদেশ পুরো ইনিংসে ১৪০ কিলোমিটার গতির একটা বলও করতে পারেনি।
বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে ১০ ওভারে ৭১ রান দেন সাকিব। মাশরাফি তার ১০ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। মেহেদি মিরাজের ১০ ওভারে তুই উইকেট নেন ৬৭ রান দিয়ে। মুস্তাফিজ ৯ ওভারে ৭৫ রান খরচা করে ১ উইকেট নেন। আর সাইফউদ্দিনের ৯ ওভার থেকে আসে ৭৮ রান। নেন দুই উইকেট। অন্যদিকে গতির ঝড় তুলে জোফরা আর্চার ৮.৫ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। মার্ক উড দুটি এবং ৬ ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন বেন স্টোকস।