নিজস্ব প্রতিবেদক : র্যাপিড এ্যাকশান বাটালিয়নের সদস্যরা সাড়ে ৪৪ কেজি ওজনের এক কষ্টি পাথরের শিবমুর্তি মুর্তি উদ্ধার করেছে। এ সময় অবৈধভাবে এ মুর্তি মজুত রাখার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ভোর তিনটার দিকে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকারপাড়ার একটি বাড়ির দোতলার একটি ঘরের বক্স খাটের নীচ থেকে এ মুর্তি উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতের নাম পীযুস কান্তি মিত্র (৫০)। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের সরকারপাড়ার দেবপ্রসাদ মিত্রের ছেলে।খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা শাখার ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক এম মাহামুদুর রহমান মোল্লা বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় তার অফিসে এক প্রেস ব্রিফিং এ জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে তিনি গোপনে খবর পান যে সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকারপাড়ায় পীযুস মিত্রের বাড়িতে একটি কষ্টি পাথরের মুর্তি বিক্রির জন্য মজুত করা আছে। এরই ভিত্তিতে উপপরিদর্শক শামিম হাওলাদারের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা বুধবার ভোর তিনটার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ির দোতলার একটি ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বক্স খাটের নীচে রাখা একটি কষ্টি পাথরের শিবমুর্তি উদ্ধার করে। যার ওজন ৪৪ কেজি ৫০০ গ্রাম। এ সময় গৃহকর্তা পীযুস মিত্রকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, শিব মুর্তিটি যাচাই এর জন্য প্রতœতত্ব বিভাগের খুলনা অফিসে পাঠানো হয়। সেখানকার বিভাগীয় কর্মকর্তা আফরোজা খান মিতা প্রাথমিকভাবে মুর্তিটি কষ্টি পাথরের বলে জানিয়েছেন। যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মুর্তিটি কষ্টিপাথরের হলে আন্তজার্তিক বাজারে ওই মুর্তিটির মূল্য সাড়ে ৪৪ কোটি টাকা হতে পারে বলে ওই বিভাগীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এবিষয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তরের আর ডি ও আফরোজা খান মিতা বলেন, একটি পরীক্ষা নিরিক্ষার পর কষ্টি পাথর কিনা যানা যাবে। এছাড়া এটি একটি মহামূল্যবান সম্পদ।
আটককৃত ইলেকট্রিক মিস্ত্রি পীযুস মিত্রের দাবি, শিবমুর্তি পাঁচ বছর আগে তাদের পুকুর কাটার সময় মাটির তলা থেকে পাওয়া যায় । মুর্তিটি তারা পুজা করতেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় র্যাব- ৬ এর ডিএডি লুৎফর রহমান বাদি হয়ে পিযুস মিত্রের নাম উল্লেখ করে বুধবার বিকেলে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত পীযুসকে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
সাতক্ষীরায় কষ্টি পাথরের শিবমুর্তিসহ ব্যক্তি আটক – ১
পূর্ববর্তী পোস্ট