দেশের খবর: বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ ও তার পরিবার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কাপাসিয়ায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গত দু’দিন যাবৎ এর প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।
সম্প্রতি ভাগ্নে সৌরভ অপহৃত হওয়ার পর ফেসবুকে সোহেল তাজের লাইভ নিয়ে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম সিদ্দিকী তাজউদ্দীন পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।
এ নিয়ে শনিবার বিকালেও বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বদু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল কাউয়ুম ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক রাসেদুল আলম সৈকত, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ দরজী, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ রানা, কাপাসিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদল হাসান মামুন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় নেতারা বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছাত্র রাজনীতির কুলাঙ্গার নাজমুল আলম সিদ্দিকী স্বাধীনতার কারিগর বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কাপাসিয়ার সূর্যসন্তান বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ ও তার সহধর্মিনী আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন, ছোট ভাই সাবেক মন্ত্রী আফসার উদ্দীন আহমদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ও কাপাসিয়ার বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির বিরুদ্ধে ফেসবুকে যে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। এ মন্তব্য করে কাপাসিয়াসহ দেশব্যাপী মানুষের মনে চরম আঘাত দিয়েছে।
নেতারা তার এ মন্তব্যের কারণে নাজমুলের গ্রেফতার ও শাস্তি দাবি করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার রাতে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।