দেশের খবর: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে পর্যটন একটি বর্ধনশীল খাত। এ ব্যাপারে আমাদের পিছিয়ে থাকা চলবে না। এ খাতকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে আকৃষ্ট করে তুলতে হবে। আমাদের যেসব ঐতিহ্য এবং কালচার আছে সেগুলোকে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। আমাদের যা আছে পৃথিবীর অনেক দেশেই নেই।’
বৃহস্পতিবার সকালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ঢাকায় ‘ঢাকা ইজ দ্য ওআইসি সিটি ট্যুরিজম ২০১৯’ দু’দিনব্যাপী ওআইসির অফিসিয়াল সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের রয়েছে ৮০ মাইল লম্বা সমুদ্র সৈকত যা পৃথিবীর অন্যকোনো দেশে নেই। সমুদ্র্র সৈকত কক্সবাজার, সুন্দরবন ছাড়াও আমাদের রয়েছে অনেক প্রাচীন ও প্রত্নতত্ত্ব এবং ইসলামিক স্থাপনা। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রাচীন শহর ঢাকা অবস্থিত। প্রাচীন নগরীকে ঘিরে ও নদী প্রবাহিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওআইসি রাষ্ট্রসমূহের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা একসঙ্গে থেকে নিজ নিজ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করব। সবার সঙ্গে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কাজ করব। কারো সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে নিজেরাই সমাধান করব।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওবায়দুল মুক্তাদির বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য দেন ওআইসির সহকারী মহাসচিব মুসা ইলিকায়া। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঢাকায় আছে আহসান মঞ্জিল, লালবাগের কেল্লা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হোসনি দালান, আমাদের মুসলিম, জামদানি, ঢাকার বাকরখানি, পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ইকোপার্ক, সাফারি পার্ক, ইত্যাদি। পর্যটকরা বাংলাদেশে এসে এগুলো উপভোগ করতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল কাবা শরিফের আদলে। পরবর্তীতে আমরা প্রয়োজনে এটাকে আরো বর্ধিত করি। সে সময় সৌদি বাদশা বায়তুল মোকাররমের উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলামিক পর্যটনকে বাণিজ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হলে বেসরকারি খাতকে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। এ ছাড়া ভিসা সহজীকরণ করা, ব্র্যান্ডিং করতে হবে। হালাল খাদ্য ইসলামিক পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে। পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য আমরা ২০১০ সালে নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। সারাদেশে বিভিন্ন অবকাঠামো গড়ে তুলছি।
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ফুটবল স্টেডিয়াম করা হয়েছে। প্রয়োজনে পর্যটকদের জন্য সেখানে আরও ভালো স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। যে স্থাপনায় থাকবে আন্তর্জাতিকমানের হল রুম। কক্সবাজারের মতো এত সুন্দর সি বিচ পুথিবীর কোথাও নেই। তিনি পর্যটকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করার জন্য আহ্বান জানান।