খেলার খবর: এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট কে হতে যাচ্ছেন- এমন প্রশ্ন আগে থেকেই আলোচিত ছিল ক্রিকেট অঙ্গনে। আলোচনায় ছিল বেশ কয়েকজনের নাম। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় ভারতের রোহিত শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন ও বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান, ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ ও নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। ব্যাটিং এভারেজে এক নম্বরে ছিলেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন, যিনি একাই দলকে অনেকটা টেনে তুলেছেন ফাইনালে।
আর এর পুরস্কারও পেয়েছেন উইলিয়ামসন। হয়েছেন এবারের বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার। অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড ৫৭৮ রান করে এই পুরস্কার জেতেন তিনি। তবে ৬০৬ রান এবং ১১ উইকেট নিয়েও সাকিব পাননি এই পুরস্কার।
তবে বিশ্বকাপের শুরু থেকে একেবারে যেদিন বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েছে সেদিন পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের দিকে তাকিয়ে আশাবাদী ছিলেন বাংলাদেশের ভক্তরা। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেরা চারে তো উঠতে পারেনি, আট নম্বরে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে লাল-সবুজের দল।
তবে দল সাফল্য না পেলেও, সাকিবকে নিয়ে আশাবাদী ছিলেন সবাই। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সাফল্য তাঁর হাত ধরে। না, অধরাই থেকে গেল।
বিশ্বকাপের মতো আসরে সাকিবের মতো অলরাউন্ড পারফরম্যান্স আর কারো নেই। বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের পরিসংখ্যান ও পারফরম্যান্স এই একটি জায়গাতেই ম্লান হয়ে যায়, কারণ বাদবাকি যারা সব তালিকার ওপরের দিকে আছেন তারা সবাই অন্তত সেমিফাইনাল খেলেছেন, কয়েকজন ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছেন।
কিন্তু তাদের চেয়ে সাকিব একটা জায়গাতে এগিয়ে আছেন, সেটা হলো ব্যাটে বলে এমন পারফরম্যান্স আর কেউই দেখাতে পারেননি।
সাকিব মোট আটটি ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন, ৬০৬ রান তুলেছেন, ৮৬.৫৭ গড়ে। সাকিবের গড় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বল হাতে সাকিব আট ম্যাচে নিয়েছেন ১১টি উইকেট।
অর্থ্যাৎ ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই সাকিব দলের তিনটি জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। প্রথম দুটি জয়ের একটিতে সেঞ্চুরি করেছেন, একটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেছেন। মোট আট ম্যাচ খেলা সাকিব সাতটি ইনিংসেই ন্যূনতম ৫০ রান অতিক্রম করেছেন। বিশ্বকাপে তাঁর সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৪১ রান।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৬০০ এর ওপর রান ও ১০টিরও বেশি উইকেট নিয়েছেন সাকিব।