দেশের খবর: বড়পুকুরিয়া কয়লা দুর্নীতি ও ২৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক সাত এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জ আনা হয়।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শামছুল দিনাজপুর সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আজিজ আহমদ ভূঞার আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করা হয়।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। তদন্তে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে পাঁচজনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে নতুন করে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় মামলায় আরও ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ৭ সাবেক এমডিরা হলেন- মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ খান, খুরশীদুল হাসান, কামরুজ্জামান, মো. আমিনুজ্জামান, এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব ও হাবিব উদ্দিন আহাম্মদ।
এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. শরিফুল আলম, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আবুল কাসেম প্রধানীয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন বিভাগ) আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (মেন্টেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা শাখা) সৈয়দ ইমান হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মুহাম্মদ খলিলুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মেন্টেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মোর্শেদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) মো. জাহেদুর রহমান। এছাড়া তদন্তে অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, ব্যবস্থাপক (কোন হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ডিপার্টমেন্ট) এ কে এম খালেদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) মো. জোবায়ের আলীকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়।
অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ৫ জনকে। তারা হলেন, ব্যবস্থাপক (কোম্পানির প্ল্যানিং অ্যান্ড এক্সপোরেশন বিভাগ) মো. মোশারফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড মেন্টেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) মো. একরামুল হক, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) গোপাল চন্দ্র সাহা ও সাবেক মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) মো. আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী।
তদন্তকালে দুদক প্রমাণ পায় আসামিদের পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত এসব কয়লা আত্মসাত করেছে। যার মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।