নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর উপসংহার বিয়ে । ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর তার সাথে আমার বিয়ে হয় ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে। এর আগে আমরা অ্যাফিডেভিট করি।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাঝপারুলিয়া গ্রামের মো. আরশাদ আলির মেয়ে ফারজানা আক্তার শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন। তিনি বলেন আমি নিরুপায় হয়ে মামলা করেছি। আর আমার মামলার বিপক্ষে পাল্টা মামলা করে আমাকে উল্টো হয়রানি করছে আমার স্বামী।
সাতক্ষীরা সিটি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষ সম্মানের ছাত্রী ফারজানা বলেন ২০১৫ সালের দিকে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই উপজেলার গুরগ্রামের রোকনুজ্জামান রনির। পরে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম বকুলের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন্ হয়। ফারজানা বলেন আমরা আটমাস যাবত ঘর সংসার করেছি। রনির মা মাহফুজা খাতুন এ বিয়ে পারিবারিকভাকে মেনেও নেন। কয়েকমাস পর অন্যদের উসকানিতে রনি ও তার মা এই বিয়ে অস্বীকার করতে থাকেন। তবে স্বামী রনি বলেন ‘ একটি ১৫০ সিসি অ্যপাচি মোটর সাইকেল ও এক লাখ টাকা বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসো। তবেই আমরা ফের স্বামী স্ত্রী হিসাবে বসবাস করবো’। লিখিত বক্তব্যে ফারজানা বলেন আমি ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দেবহাটা আমলি আদালতে রোকনুজ্জামান রনি ও তার মা মাহফুজার বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করি। তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। বিচারককে রনি বলেন বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়া হবে। অথচ তা না করে রনি আদালতে ফারজানার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। এই মামলায় তাদের বিয়েকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন রনি। তবে আদালত বিবাহ রেজিস্ট্রারের ভলিউম বই আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু গত পাঁচ মাস যাবত সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিবাহ রেজিস্ট্রারকে নোটীশ দেওয়া হয়নি। তার কাছে সমনও পৌছায়নি। তিনি জানান আদালতের এক শ্রেণির কর্মচারিকে ম্যানেজ করে এই নেটিীশ ও সমন আটকে রেখেছে রোকনুজ¥ান রনি। ভলিউম বই আদালতে পৌছালে রনির সাথে তার বিয়ের বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে বলে জানান ফারজানা।
ফারজানা বলেন তিনি ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। অপরদিকে রনি বিয়ে অস্বীকার করে আমার সাথে প্রতারণা করছেন। আমি এখন দাঁড়াবো কোথায়।
ফারজানা এর প্রতিকার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার মা লাইলি খাতুন।