দেশের খবর: অফিস সহায়ক এক নারীর সঙ্গে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে উদাহরণ সৃষ্টি হওয়ার মতো শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছি।
আজ রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জামারপুরের ডিসি অনৈতিক কাজ করেছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হযেছে। অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি যে নারীর নাম এসেছে তাকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তার সর্বেোচ্চ কী শাস্তি হতে পারে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো শাস্তি হবে। সরকারি চাকরির বিধান মতে তার শাস্তি হবে। আমরা আশা করি, দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
তিনি আরো বলেন, আহমেদ কবীরকে এর আগে শুদ্ধাচার পদক দেওয়া হয়েছিল। সেটা ফিরিয়ে নেব। আগামীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিকতা বিবেচনা করে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে আপলোড করা চার মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের খাস কামরায় যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তা সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া পিয়ন বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করেছে। ভিডিওতে ডিসির খাস কামরায় ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় ডিসিকে।