নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা আশাশুনির কাপসন্ডা গ্রামের রমজান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসি। প্রায় ৪০ টি হত্যা ডাকাতি চুরি, চাঁদাবাজি, বোমাবাজিসহ মামালার আসামী রমজান ও তার বাহিনীর দাপটে সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ। প্রতিদিন সে ও তার বাহিনী এলাকায় ঘের দখল চাঁদবাজি সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদ আদায় করে আসছে। তার বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ উপরিক্ত কথা বলেন আশাশুনি উপজেলার চেউটিয় গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে বাবু হোসেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলার কাপসন্ডা গ্রামের সুন্দর আলী মোড়লের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী, চুরি,ডাকাতি, চাঁদাবাজি, বোমাবাজিসহ প্রায় ৪০ মামলার আসামী রমজান বাহিনীর অত্যাচারে অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। রমজান আলীর নেতৃত্বে এলাকায় অস্ত্রের মহড়া দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করাসহ বহু লোকের জমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে। তার সহযোগি হিসাবে রয়েছে রমজানের আপন ভাই একই গ্রামের সৈয়দ আলী মোড়ল, সৈয়দ আলী মোড়লের দুই ছেলে আছাদুল ও সাকিল, রশিদ সরদারের ছেলে আলম ও মিলনসহ ২০/২৫ জনের সংঘবদ্ধ বাহিনী। এসব বিষয়ে আমার পিতা কবির হোসেনসহ এলাকার অনেক মানুষের সাথে সন্ত্রাসী রমজানের বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত ২২ আগস্ট সকালে আমি মটরসাইকেল যোগে কাপসন্ডা এলাকায় পৌছালে রমজানের ভাইপো সাকিল ও নুরুল্লাহ আমার গতিরোধ করে মারপিট করে।
বিষয়টি আমার পিতা কবির হোসেনকে জানালে কবির ও আমার চাচা মিলন ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্র রমজানের নেতৃত্বে তার সহযোগী কাপসন্ডা গ্রামে জোনাব গাজীর পুত্র আঃ সাত্তার, আমিন উদ্দীন সরদারের পুত্র রায়হান উদ্দিন খোকা, সামাদ সরদারের পুত্র রাকিব সরদার, চেউটিয়া গ্রামের আমজাদ সরদারের পুত্র নুরুল্লাহ, সৈয়দ আলির পুত্র শাকিল মোড়ল ও সাকিব মোড়ল, আমিরুলের পুত্র রাকিব মোড়ল সহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্র দা, চায়নিজ কুড়াল, লোহার রড এবং বালতি ভর্তি বোমা নিয়ে তাদের তাড়া করে। কবির ও মিলন জীবনের ভয়ে পাশ^বর্তী সাত্তার গাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় রমজান ধারালো কুড়াল দিয়ে সাত্তার গাজীর বাড়ি দরজা কুড়িয়ে ভেঙে বের করে কবিরের মাথায় ধারালো কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মিলনের পা ভেঙে দেয়। এতে বাধা দিতে হলে সাত্তার গাজী ও তার ভাই সামাদ গাজীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া সাত্তার গাজীর স্ত্রী রোকেয়াকেও মারপিট করে। এতে আমার পিতা কবির, চাচা মিলন ও সামাদ গাজী গুরুতর আহত হয়। স্থানীরা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের মধ্যে সামাদ গাজী ও কবির হোসেনকে অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। তবে সামাদ গাজীর অবস্থার বেশি অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। সেখানে তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যারা আমার পিতা ও চাচাকে মারপিট করে আহত করলো অথচ আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। তিনি রমজান ও তার বহিনীর হাত থেকে তার পরিবার ও এলাকার নিরিহ গ্রামবাসিকে রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামানা করেছেন।
আশাশুনির ৪০ মামলার আসামী রমজান বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি চায় এলাকাবাসী
পূর্ববর্তী পোস্ট