খেলার খবর: মিসবাহ উল হককে পাকিস্তান জাতীয় দলের প্রধান কোচ এবং নির্বাচকদের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ওয়াকার ইউনুসকে বোলিং কোচ করে তাদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করেছে। পাঁচ সদস্যের একটি প্যানেল তাদের দু’জনকে বাবর আযম-ফখর জামানদের কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
ওয়াকার ইউনুস এর আগে পাকিস্তান জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রথমে বোলিং কোচ ছিলেন তিনি। পরে তাকে প্রধান কোচ করা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে দল ভালো না করায় সরে যেতে হয় তাকে।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মিজবাহ কোচের দায়িত্ব পেয়ে খুশি জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটই আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস। পাকিস্তান দলের কোচের মত বড় দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত। আমি জানি, আমার কাছে বোর্ডের অনেক প্রত্যাশা। আমি ওই চাওয়া পূরণ করতে প্রস্তুত। না হলে, কোচের পদে আবেদনই করতাম না।’
মিসবাহ জানান, দলে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তাদের অনুশীলন করাতে হবে। ড্রেসিংরুমের সংস্কৃতি বদলাতে হবে। ক্রিকেটারদের আধুনিক সময়ের ক্রিকেটের সঙ্গে পরিচিত করে তুলতে হবে। তাদের ভয়হীন স্মার্ট ক্রিকেট খেলতে শেখাতে হবে। এছাড়া আধুনিক ক্রিকেট পারফরম্যান্স দেখতে চায় বলেও উল্লেখ করেন পাকিস্তানের নতুন কোচ।
কোচিং প্যানেলে ওয়াকার ইউনুসকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত বলে জানান মিসবাহ, ‘আমার পাশে অভিজ্ঞ ওয়াকার ইউনুসকে পেয়ে আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। আমাদের দলে দারুণ কিছু তরুণ পেসার আছে। তাদের শেখানোর জন্য ওয়াকারের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারেন না। এরই মধ্যে আমার এবং ওয়াকারের মধ্যে আলাপ হয়েছে। আমরা বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি।’ পাকিস্তানের কোচ হয়ে মিসবাহর প্রথম পরীক্ষা ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ।