নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গোদাঘাটা প্রাইমারী স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়ম সহ নানা অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষণ রায়ের অপসারণের দাবিতে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার(৪সেপ্টেম্বর) সকালে গোদাঘাটা-বৈকারী সড়কে ওই স্কুলের সামনে সড়কের উপর বিক্ষোভে করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
এসময় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুনীতি ও কমিটি গঠন বন্ধসহ তার অপসারণের দাবিতে অভিভাবকরা ও শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেয়। এসময় ইউপি সদস্য আমেনা খাতুন, অভিভাবক সদস্য শাহাজান, মনিরুল, আরিফ হোসেন,রফি সাধু,সজ্ঞয় সাধু, সাধন সাধু সহ অভিভাবক সদস্যরা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় অভিভাবকরা জানান গোদাঘাটা স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষন রায় পূর্বে ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত না করে এবং নির্বাচন বিহীন গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই স্কুলের বহিরাগত অভিভাবকদের উপস্থিততে মনগড়া অভিভাবক সদস্য কমিটি গঠন করেন।
অভিভাবকরা আরো জানান স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি করতে হলে পূর্বে কমিটি ৩ মাস আগে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করা জন্য এলাকায় মাইকিং করতে হয়, অভিভাবকদের মাঝে চিঠি দিতে হয়। স্কুলের পরিচালনার নিয়মনীতি ছাড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক লক্ষন রায় এলাকায় কোনো মাইকিং না করে এবং অভিভাবকদের কাছে কোনো চিঠি না দিয়ে পূর্বের কমিটির কয়েকজন অভিভাবক সদস্য ও বহিরাগত অভিভাবকদের কাছ থেকে গোপনে সাক্ষর নিয়ে ও চিঠি দিয়ে তাদের স্কুলে ডেকে নিয়ে লোক দেখানো মনগড়া কমিটি করেছে ওই প্রধান শিক্ষক। তবে বেশিভাগ অভিভাবক সদস্যরা চিঠি পায়নি।
অভিযোগ করে আরো বলেন স্কুলের অভিভাবক সদস্য শ্রীপুর এলাকার মৃত সুলতানের ছেলে শাহাজান আলি, তরিকুলের স্ত্রী শিল্পী, গোদাঘাটার হোসেন আলির ছেলে মনিরুল ও আব্দুল আলিমের স্ত্রী হাফিজা খাতুন ব্যক্তিরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের বিষয়ে জানতে পেরে কমিটিতে সদস্য হইবার জন্য তারা গত ২৪ আগস্ট মাসে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বরাবর আবেদন করলেও এই আবেদনকারী ব্যক্তিদের না জানিয়ে গোপনে বহিরাগত অভিভাবকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের কাছ থেকে সাক্ষর নিয়ে ও তাদের স্কুলে ডেকে নিয়ে কমিটি গঠন করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক লক্ষন রায।
এই স্কুলের জন শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করে। এসব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে
স্কুলের প্রধান লক্ষন রায় প্রতিমাসে ৫ টাকা করে উত্তোলন করে থাকেন । শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তোলনের ওই টাকা প্রধান শিক্ষক পকেটে করে বাড়ি নিয়ে যান। তাছাড়া স্কুলের বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য সরকারী বরাদ্দকৃত দেওয়া টাকা ধরে বিভিন্ন খ্যাতে ভাউচারে ব্যয় দেখিয়ে বেশিভাগ টাকা দীর্ঘদিন আতœসাত করে আসছেন ওই প্রধান শিক্ষক।
তারা আরো বলেন এই প্রধান শিক্ষক লক্ষন রায় নিজের এলাকার স্কুলে থাকায় সে দাপটের সাথে চলে। কারোর তোয়াক্কা করে না। স্কুলে গিয়ে ক্লাস না করে শিক্ষকের কক্ষে চেয়ারে বসে ঘুমায়। তাছাড়া বেশিভাগ স্কুলে গিয়ে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে তার নিজের কাজে বাহিরে চলে যান প্রধান শিক্ষক লক্ষন কুমার রায়। তাছাড়া এসব অনিয়ম ও দুনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে সাধারণ অভিভাবকদের সাথে র্দু’ব্যবহার ও নানা রকম হুমকি প্রদান করে থাকেন ওই প্রধান শিক্ষক।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এই স্কুলের মনগড়া অনিয়ম কমিটি বন্ধ সহ দুনীতির তদন্ত পূর্বক ও প্রধান শিক্ষক লক্ষন রায়ের অপসরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিক্ষোভকারী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
গোদাঘাটা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
পূর্ববর্তী পোস্ট