ভিন্ন স্বাদের খবর: চাকরির তদবিরের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফোন করে ধরা পড়েছে এক প্রতারক। এই প্রতারকের নাম মাহমুদুল হাসান সুমন। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারে পর বুধবার দুপুরে নিয়ে যাওয়া হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু।
তিনি বলেন, প্রতারক সুমন মঙ্গলবার দুপুরে একজন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান পরিচয় দিয়ে মন্ত্রী মহোদয়কে (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) ফোন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর তিনি (কমিশনার পরিচয় দেয়া ব্যক্তি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজনকে শিক্ষক (কাজের বুয়ার ভাই জাকির) হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তদবির করার অনুরোধ জানান।
শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, কিন্তু মোজাম্মেল হক খান এক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার কণ্ঠ মন্ত্রী মহোদয়ের চেনা। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ মোজাম্মেল হক স্যারের মতো মনে হয়নি মন্ত্রী মহোদয়ের। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ অন্যান্যদের বিষয়টি জানান। সচিব স্যারও কৌশলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন যে সে দুদকের কমিশনার নন। পরে মোবাইল নম্বরটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে (মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ) দিলে তারা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
দুপুরের দিকে ওই প্রতারককে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে আনা হয় জানিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বলেন, মাহমুদুল হাসান সুমন নামে তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদরে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিগ্যান ইনভেস্টিগেশন’ নামে একটি সংস্থার বাংলাদেশের প্রধান ইনভেস্টিগেটর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর বলে পরিচয়পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানকেও জানানো হয়।