প্রেস বিজ্ঞপ্তি ঃ পাওনা টাকা না দিয়ে শিক্ষক অরূপ সাহার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শহরের মধ্যকাটিয়া এলাকার অনিল কুমার সাহার ছেলে ভুক্তভোগী অরুপ কুমার সাহা ।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে কাটিয়া সরকারপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া উত্তম কুমার দাস বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে আমার কাছ থেকে ধার হিসেবে টাকা পায়সা গ্রহণ করতেন। একপর্যায়ে উত্তম কুমারের বিশেষ প্রয়োজনে দুই দফায় আমার কাছ থেকে ৮ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধের শর্তে গ্রহণ করেন। সে সময় তিনি তার স্বাক্ষরিত দুটি চেকও আমাকে প্রদান করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর চেক নিয়ে ব্যাংকে জমা দিলে তার হিসাবে কোন টাকা নেই বলে ব্যাংক কর্তৃক আমাকে জানানো হয়। এদিকে, সুচতুর উত্তম কুমার আমার টাকা না দিয়ে আত্মসাথের লক্ষ্যে ভারতে চলে যান। মাস খানেক পরে উত্তম পুনরায় দেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ থেকে তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রয় করে সব কিছু গুছিয়ে একেবারে ভারতের চলে যাওয়ার পায়তারা করতে থাকেন। বিষয়টি আমি জানতে পেরে তাকে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকি। এরপর থেকে উত্তম আমার মোবাইল ফোন রিসিভ করেন না, এমনকি তার ভাড়া বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায় না। এ ঘটনায় আমি সদর থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছি। যা তদন্তাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তার ভাগ্নে অমৃতকে চাকুরি দেওয়ার জন্য তাদের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নিয়েছি মর্মে অপপ্রচার চালাতে থাকেন এবং গত ৪ অক্টোবর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে তার ভগ্নিপতি রবীন্দ্রকে দিয়ে সাংবাদিদের ভুল বুঝিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করেন। যার কোন তথ্য প্রমান তাদের কাছে নেই। তিনি আরো বলেন, আমি একজন শিক্ষক হয়ে কাউকে চাকুরি দেওয়ার ক্ষমতা রাখি না বা চাকুরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। আমার অপরাধ ছিলো তার বিপদের সময়ে তাকে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছিলাম।
এমতাবস্থায় তিনি (অরুপ) তার পাওনা টাকা উদ্ধারসহ মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করার অপরাধে উত্তম ও তার ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।